ডেস্ক: মাত্র তিন ঘন্টার বৃষ্টিতেই সিলেট নগরীতে হাঁটু পানি।সকাল ৬ থেকে ৯ পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে সড়কে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। আর বাসাবাড়িতে আটকা পড়ছেন বাসিন্দারা। সিলেট আবহাওয়া অফিস বুধবার (১৪জুন) সকাল ৬টা থেকে ৯টাপর্যন্ত এ পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
আর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলরা বলছেন বেশিপরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে। জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে টানা কয়েক ঘন্টা মুলধারা বৃষ্টিপাত শুরু হয়।বৃষ্টির ফলে নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। রাস্তাঘাটে হাঁটু পানি। অনেক বাসায়ও পানি ঢুকেছে। কিন্ত পানি সহজে বের হচ্ছে না।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন কাজ আটকে থাকার কারণে এমনটা হচ্ছে বলে এমনটা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই, রেলগেইট, মিরের ময়দান, হাওয়াপাড়া, রাজারগলি, জালালাবাদ, যতরপুর, পাঠানটুলসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে যায়। দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই, রেলগেইট এলাকায় সড়কে হাঁটুপানি জমে। সড়ক হাঁটু পানি থাকায় যাতায়াত করতে পারছেন না পথচারীরা।
এছাড়াও যানচলাচলেও বাঁধা সৃষ্টি হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ড মিরের ময়াদন এলাকার বাসা-বাড়ির সামনে পানি থৈ থৈ করছে।এতে করে বাসা থেকে বের হতে পারছেন না বাসা-বাড়ির বাসিন্দারা।তারা শঙ্কায় রয়েছেন যেকোনো সময় বাসায় পানিতে উঠতে পারে বলে। বেসরকারি চাকরি জীবি আলা উদ্দিন জানান, জলাবদ্ধতার কারণে নোংরা পানিতে শরীর ও কাপড় ভিজে গেছে।
এছাড়া নোংরা পানিতে ভিজে অফিসে গিয়েও চরম অস্বস্তিতে থাকতে হয়। নগরীর জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা আমিন বলেন, ‘রাতে ঘুমাবার আগে তো সব কিছু ঠিক ছিলো কিন্তু সকালে দেখি বাসার সামনে পানি আর পানি। আমরা থাকি বাসার নিচতলায়। বৃষ্টি হলেই আতঙ্ক। আজও ঘরের কিছু অংশে পানি ডুকেছে। জিনিসপত্র নিয়ে টানাটানি করতে করতে আমরা হয়রান।’ সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান সিলেটপ্রতিদিনকে বলেন, বেশিপরিমাণ বৃষ্টিপাতের ফলে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে।তাছাড়া আমাদের টিম মাঠে কাজ করছে।কোথাও ময়লা-আবর্জনার জন্য পানি আটকে গেলে তা পরিষ্কার করে দেয়া হচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন সিলেটপ্রতিদিনকে জানান, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টানা তিন ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৪৬ দশমিক ৪ মিলিটার।
Leave a Reply