ডেস্কঃ চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী রাজনা হত্যাকান্ডের আসামি চাচাতো ভাই সালামান মিয়াকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও সালামানের মা আইরুন নেছাকে ২ দিন জেলগেটে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটে আদালতের বিচারক মুহাং হেলাল উদ্দীন এই রায় প্রদান করেন। এর আগে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী রাজনা হত্যা‘র রহস্য উন্মোচনের জন্য গ্রেফতারকৃত শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের সিজিল মিয়ার ছেলে নিহতের চাচাতো ভাই সালমান মিয়া ও চাচি আইরুন নেছা‘র ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো, নাজমুল হক। আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে এই রায় প্রদান করনে বিচারক।
গত ২২ জুলাই সন্ধ্যায় বস্তাবন্দি অবস্থায় শরীফপুর তালুকদার বাড়ি এলাকায় দিরাই-মদনপুর সড়কে পাশে সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী রাজনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় পরদিন রাজনার বাবা ইসাইল মিয়া বাদী হয়ে শান্তিগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত নামা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ক্লু-লেস হত্যাকান্ডটির রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি করে এলাকাবাসী ও স্কুল ছাত্রী রাজনার পরিবার। হত্যাকান্ডের ঘটনায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ চৌধুরী ও সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার শুভাশীস ধরের নির্দেশনা হত্যাকান্ডের জড়িত আসামিদের সনাক্তে তৎপর হন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুল হক। নিহত রাজনার মরদেহে লেগে থাকা বাদামের খোসা ও বস্তার সূত্র ধরে নির্ভরশীল তথ্যের ভিত্তিতে নিহত রাজনার আপন চাচা সিজিল মিয়ার রান্না ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় সিজিল মিয়ার ঘর থেকে একই রকম বস্তা, রক্তেভেজা বাদামের খোসাসহ অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ। এসময় হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে সিজিল মিয়ার ছেলে সালমান মিয়া ও স্ত্রী আইরুন নেছাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় দিরাই মদনপুর সড়কে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে হত্যাকান্ডে সালমানের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ। মরদেহ ব্যবহৃত অটোরিকশা জব্দ করেছে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডটি উদঘাটনে পুলিশ তৎপর ছিলো।
পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় শান্তিগঞ্জ থানার ওসি, সার্কেল স্যারের দিক নির্দেশনায় গোয়েন্দা তৎপরতার ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনের পথে। হত্যা পেছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না সেটি বের করতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ছিলাম আদালতের কাছে। বিজ্ঞ আদালত সালমান মিয়াকে ২দিনর রিমান্ড ও তার মাকে ২ দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply