1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

গৃহকর্মী কিশোরীকে দেড় বছর আটকে রেখে ধর্ষণের দায়ে গৃহকর্তা চন্দন ধরকে গ্রেফতার

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৮২ বার পঠিত

ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল গৃহকর্মী কিশোরীকে দেড় বছর আটকে রেখে ধর্ষণের দায়ে গৃহকর্তা চন্দন ধরকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাত তিনটার দিকে মৌলভীবাজার সদরের জৎগসি গ্রামের সূত্রধর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে দুপুরে শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের ষ্টেশন রোডের হিরম্ময় প্লাজার তিন তলার একটি বাসা থেকে গৃহকর্মী কিশোরীকে (১৪) হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।এসময়  গ্রেফতার করা হয় চন্দন ধরের মা সাধনা ধর (৬০), তার বোন পূর্ণা ধরকে (৩০)।

শ্রীমঙ্গল উপপরিদর্শক আসাদুর রহমান জানান, ধর্ষিতা গৃহকর্মী কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য যে, (১৬ এপ্রিল) শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার পৌর শহরের স্টেশন রোডের হিরন্ময় প্লাজার তৃতীয় তলার চন্দন ধরের বাসা থেকে ১৭ বছর বয়সি কিশোরীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গৃহকর্মী কিশোরী বাসা শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নেরর শহরতলী শাহীবাগ এলাকায় বলে পুলিশ জানায়।

গৃহকর্মী কিশোরী জানায়, গত দেড় বছর আগে শহরের ষ্টেশন রোড়ের হিরম্ময় প্লাজার তিন তলার বাসিন্দা ‘অরেঞ্জ ফ্যাশন’ র মালিক চন্দন ধরের (৪৫) বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেয়। কাজে যোগ দেয়ার কয়েকদিনের মাথায় চন্দন ধর তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গত দেড় বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছিল । এসব জানার পরও বাসার লোকজন বাঁধা দেয়নি বলে বলে জানায় ভিকটিম কিশোরী।
কিশোরীর অভিযোগ, (১৬ এপ্রিল) শনিবার সকালে চন্দন ধর তাকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে বাঁধা দেয়।এতে চন্দন শারীরিক নির্যাতন করে তার হাত-পা বেঁধে একটি রুমে ফেলে রাখে।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার মেয়েটির আত্মচিৎকার শুনে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে।

শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানান, ধর্ষক চন্দনের মা সাধনা ধর (৬০) বোন পূর্ণা ধরকেও (৩০) আটক করা হয়। ওই সময় ধর্ষক গৃহকর্তা চন্দন ধর পালিয়ে যায়। এছাড়া মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মেয়েটি নিজেই বাদী হয়ে চন্দন ধরসহ ৩জনকে আসামি করে মামলার দায়ের করলে তাদেরকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। নির্যাতিতা কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x