ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের গোয়াইনঘাটের ৭ নং নন্দিরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম আমিরুলের বিরুদ্ধে আদালত অগ্রাহ্য করে ভূমি জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১১জুলাই সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে এ অভিযোগ করেন বিশ্বনাথের মান্দারুকা গ্রামের মদরিছ আলীর পুত্র দুলাল হোসেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন নোয়াগাঁ মৌজার ২৭,২৮ ও ২৯ দাগের ৫.১০ একর ভূমির মালিক জনৈক রাবিয়া বিবি। এ ভূমির আম-মোক্তার হচ্ছেন দুলাল হোসেন। সিলেট জেলা জজ আদালতের স্বত্ব মোকদ্দমা ১৮৪/২০২১ ইং প্রদত্ত ২১.০৪.২০২২ তারিখের আদেশে বারিয়া বিবির নামে এ ভূমির স্বত্ত্ব মালিকানা সাব্যস্ত হয়।
কিন্তু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যন কামরুল ইসলাম আমিরুল আদালতের রায় অগ্রাহ্য করে আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ নামে ওই ভূমিতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করতে শুরু করেন। ফলে ভূমির মালিক রাবিয়া বিবির পক্ষে আম-মোক্তার দুলাল হোসেন চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম আমিরুলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সিলেট জেলা জজ আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা ১২৪/২০২২ দাখিল করেন। আদালত কমিশন করিয়ে ভূমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও স্থিতাবস্থার আদেশ জারি করেন। কিন্তু স্থিতাবস্থার আদেশ অগ্রাহ্য করে চেয়ারম্যান আমিরুল ভূমি জবরদখল ও স্থাপনা নির্মান অব্যাহত রাখলে দুলাল হোসেন চেয়ারম্যান আমিরুলের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে ফের কোর্ট ভায়োলেশন মোকদ্দমা নং-০৮/২০২৩ দাখিল করেন, যা’ বিচারাধীন।
আদালতের একাধিক আদেশ অগ্রাহ্য করে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম আমিরুল ভূমি জবরদখল ও স্থাপনা নির্মাণ অব্যহত রাখায় এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই চেয়ারম্যান আমিরুলকে জবরদখল ও শান্তিভঙ্গ থেকে নিবৃত করতে দুলাল হোসেন সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে এই আবেদন করেন।
আবেদনের অনিুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও দুদক সহ সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বশীল মহলে প্রেরণ করা হয়েছে।
সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
Leave a Reply