তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সিলেট অঞ্চল। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছেতো বাড়ছেই। নামার কোন লক্ষণ আগামী ২৪ ঘন্টায়ও দেখা যাচ্ছেনা। তবে শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা দেখছেন সিলেটের আবহাওয়াবিদরা।
গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সিলেটের তাপমাত্রা কেবল বেড়েই চলেছে। বুধবার এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস! চারদিকে হাসফাঁস অবস্থা। মানুষ এবং প্রাণীকূল- স্বস্তিতে নেই কেউ। অনেকেই হিটস্ট্রোকে ভোগছেন।
আবহাওয়ার এই বৈরি অবস্থা বিরাজ করছে গত ৭ জুলাই থেকে সিলেটজুড়ে তীব্র তাপদাহ শুরু হয়। দিনদিন তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। সাথে গায়ে জ্বালাপোড়া ভাব। ৭, ৮ ও ৯ জুলাই এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রির উপরে।
১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে সিলেট অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন বাড়ে আরেকট। ১১ জুলাই সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫, মঙ্গলবার ছিল ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার তা ৩৭ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে যায়।
এ অবস্থায়, শহর বন্দর বা গ্রামীন জনজীবনে কোন স্বস্তি নেই। সঙ্গে আছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা! গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজারে লোডশেডিংয়ের কারণে অনেকে রাত ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
এমন গরমে গরমজনিত রোগের ছড়াছড়ি। চারদিকে মাথাব্যথা, সর্দিকাশি, জ্বর- ইত্যাদি লেগেই আছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের অবস্থা অত্যন্ত করুন।
বিয়ানীবাজারের আছিরগঞ্জ বাজারের একজন ফার্মাসিস্ট আব্দুল আহাদ জানান, গত ৪/৫ দিন অস্বাভাবিক রকমের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। গরমের প্রভাবেই জ্বর সর্দিকাশি মাথাব্যথা ইত্যাদি রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই।
এদিকে সিলেটের আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। তবে শুক্রবার থেকে তা কিছুটা হ্রাস পেয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও ১৭ জুলাই থেকে দু’তিন দিন ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই তাপদাহ। নিম্চাপের প্রভাবে সাইক্লোনও সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ মৌসুমের সাইক্লোন অতটা শক্তিশালী হয়না। তাই শুক্রবার থেকেই আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয় শুরু করবে। এরপর দু’তিনদিন ভারি বৃষ্টিপাতে সম্ভাবনা রয়েছে।
Leave a Reply