সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত লায়লা নীরা বলেছেন, ধনী-গরীব নির্বিশেষে এদেশের প্রত্যেক নাগরিকের আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। মানবীয় এ অধিকারকে কোনভাবেই খর্ব করা যাবে না। তা হলে এক সাগর রক্তে পাওয়া এই স্বাধীন দেশের নাগরিকেরা তাঁদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলা মিলনায়তনে সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’-২৩ উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ আয়োজিত র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন।

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ, বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা খাতুন।

এতে অংশ নেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাখন চন্দ্র সুত্রধর, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাব, সিলেট’র সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ ফুলর, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)’র মোগলাবাজার থানার ওসি’র প্রতিনিধি এসআই তোফায়েল আহমেদ ও মহিলা আ’লীগ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সভাপতি সৈয়দা বেদানা বেগম। কর্মসূচিতে উপজেলা প্রশাসনের প্রতিটি দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও আরো বলেন, ২০১৩ সাল থেকে প্রবর্তিত হয়ে গত ১১ বছরে সরকারি এ সুবিধায় এ পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ আইনি সুরক্ষা পেয়েছেন। যা অতীতে কোনদিন দেখা যায়নি। তিনি বলেন, আমাদের সকলকে আরো সচেতন হতে হবে। অপরাধ করে অপরাধীরা যাতে আমাদের নির্লিপ্ততার জন্য পার পেয়ে না যায়,  সে লক্ষ্যে যথাযথভাবে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। এ অবস্থায় কেউ মামলা পরিচালনায় অপারগ হলে সরকার আইন সহযোগিতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অন্য বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে দেশবাসীকে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। আজ আর তা স্বপ্ন নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরো দেশ ডিজিটালাইজড্ হয়েছে। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। ইনশাল্লাহ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের সে প্রত্যাশাও প্রাপ্তিতে রূপান্তরিত হবে।

এরআগে দিবসের আলোকের একটি সুদৃশ্য র‌্যালি উপজেলা কমপ্লেক্স সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।