1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন

নিত্যপণ্যে সিন্ডিকেট রুখতে সিলেটে হার্ডলাইনে প্রশাসন

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৪০ বার পঠিত

আজ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। মাগফিরাত, নাজাতের মাসটি মুসলিম উম্মাহর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রমজান সংযমের মাস। অথচ বছর ঘুরে মাসটি এলেই দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হন অধিক মোনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। নিত্যপণ্য থেকে কাঁচা বাজার সবখানে বাজার দরে যেনো আগুন লাগে! চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ, ছোলা থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্রের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

অধিক মুনাফালোভীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন। ‘তীল থেকে তেল’ প্রতিটি জিনিসে সিন্ডিকেট, মাথায় হাত পড়ে মধ্যবিত্ত, নিন্মমধ্যবিত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষের। এবারো এর ব্যত্যয় ঘটেনি।

রমজান আসার আগে এতোদিন ভোজ্য তেল নিয়ে নানা নাটকীয়তা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গত ২ বছরে ভোজ্য তেল লিটারে অর্ধেক দাম বেড়েছে। প্রশাসন একের পর এক অভিযান চালিয়েও নিয়ন্ত্রণহীন থেকে গেছে তেলের বাজার। এবার রমজান মাসের শুরুতেই সিন্ডিকেটের কবলে চলে গেছে নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে কাঁচা বাজার এবং মাংস ও মোরগের দাম। মানুষজন দ্বিগুন দামে কিনতে হচ্ছে সবকিছু।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় কাঁচা মচির দুই দিন আগেও ৫০/৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, অথচ সেই কাঁচা মরিচ রোজার আগের দিন ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সিলেটের বাজারে। ৪০ টাকা কেজির গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা।   আর ভোজ্য তেল সংকট দেখিয়ে সেই আগের দামই রাখছেন ব্যবসায়ীরা। কেবল অভিযানিক দল গেলে দাম কমিয়ে বলা হয়।

বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে বাদ পড়ে না নগরীর ফুটপাতও। বিভিন্ন নামীদামী প্রতিষ্ঠানও ক্রেতাসাধারণের আস্থাকে পুঁজি করে বিক্রি করেন নিম্নমানের খাদ্যসামগ্রী। বাদ পড়ে না পঁচা খাবারও। যার ফলে বিপাকে পড়তে হয় জনসাধারণকে।

তবে দ্রব্যমূল্য হাতের নাগালে রাখতে অনেকটা হার্ডলাইনে যাচ্ছে সিলেট জেলা প্রশাসন। সিন্ডিকেটধারীদের ধরতে বাজার নামছে জেলা প্রশাসনের মনিটরিং টিম।

শনিবার রমজানে বাজার মনিটরিং নিয়ে জেলা প্রশাসনে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানাবিধ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মনিটরিংয়ে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যৌথভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন শ্যামল সিলেটকে জানান, সিলেট মহানগরীতে ৪টি টিম বাজার মনিটরিং করবে। তাদের সহায়তা করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও মহানগর পুলিশ। এছাড়াও সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়েও একাধিক টিম বাজার মনিটরিং করবে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট’র নেতৃত্বে পুরো মাস জুড়ে মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমান আদালত।

তিনি বলেন, প্রতিটি টিমে একজন করে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রথমে ব্যবসায়ীদের খাদ্যের মান ও দামসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে জায়গায় জায়গায় গিয়ে বুঝানো হবে এবং পরবর্তীতে এসব জায়গায় অভিযান করা হবে। খাদ্যের গুণগত মান, মূল্য, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় রেখে মনিটরিং করা হবে।

বাজারে রমজানের সদাই করতে আসা সারওয়ার জাহান সুমন শ্যামল সিলেটকে বলেন, পবিত্র রমজান আসলে সারা বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। আর আমাদের দেশে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও কিছু দালাল-চামচাদের কারসাজিতে দ্রব্যাদির দাম কয়েকগুন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে বিপাকে পড়তে হয় নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের। যাদের আয় বাড়ে না কিন্তু প্রতিদিন খরচ বাড়ে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ১ কোটি মানুষকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রায় ১২ কোটির বেশী মানুষ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত। সরকার চাইলে আরো ১-২ কোটি মানুষকে কার্ডের আওতায় আনতে পারে। দেশে তো টাকার অভাব নেই। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা উধাও হয়, কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়। এগুলো প্রিভেন্ট করে জনসাধারণের স্বার্থে হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিলেতো সরকারের কোন ক্ষতি হবে না।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x