ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মাধবপুর ইউনিয়নের দলই চা বাগানে বিষপানে নব দম্পতি প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঘটলে দুপুরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারা মারা যায়। মেয়েটি ৫ মাসের অন্ত:স্বত্তা ছিল।
এলাকাবাসী বসু গোয়ালা জানান, দলই চা বাগানের লছমী লাইনের হারাধন সাওতালের (হারো) ছেলে বিপুল সাওতালের (২২) সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে একই বাগানের নতুন লাইনের কৃষ্ণ মাদ্রাজীর মেয়ে গীতা মাদ্রাজীর (১৬)। একপর্যায়ে গীতা মাদ্রাজী ৫ মাসের অন্ত:স্বত্তা হয়ে পড়লে ১০/১২ দিন পূর্বে গীতাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে বিপুল সাওতাল। বিষয়টি বিপুলের পরিবার মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে প্রায়শই পরিবারের সাথে ঝগড়া হতো বিপুলের।
শনিবার সকালে বিপুল শাওতাল ভারতের কাছাকাছি শাহজাদার লেবু বাগানে কাজে যাওয়ার পূর্বে বিপুলের মা কুসুম শাওতাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আর এতেই অভিমান করে প্রেমিক যুগল একসাথে মিলিত হয়ে বিষপান করে। ঘটনা জানাজানি হলে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে মৌলভীবাজার প্রেরণ করা হয়। মৌলভীবাজার হাসপাতালে গীতা মাদ্রাজী মারা যায়। সেখান থেকে বিপুল সাওতালকে সিলেটে রেফার্ড করলে পতিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী জানান আসলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছরখানেক আগে থেকে দলই চা বাগানের লছমী লাইনে বিপুল সাওতাল একই বাগানের নতুন লাইনের গীতা মাদ্রাজীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে গীতা অন্ত:স্বত্তা হয়ে পড়লে গীতার প্রেমিক বিপুলকে ঘরে তোলার চাপ দেয়। প্রায় ১০/১২ দিন পূর্বে গীতাকে নিজ ঘরে তুলে বিপুল। কিন্তু তাদের এই বিষয়টি বিপুলের পরিবার মেনে নিতে অসম্মতি জানালে ক্ষোভ ও অভিমান করে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির সবার অজান্তে বিষপান করেন তারা।
মাধবপুর ইউনিয়নের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসিদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশের ময়না তদন্ত শেষে এলাকায় আনা হবে।
কমলগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এএসআই ইশতিয়াক আহমদ জানান, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালেই দু’জনের ময়নাতদন্ত হবে। পরিবার চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply