ডেস্কঃ বাড়ির রাস্তার বিরোধের জের ধরে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা (টিল্লাপাড়া) গ্রামে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় (উঠানে) প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আব্দুল বাছিত (২৮) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী।
বাছিত টেংরা (টিল্লাপাড়া) গ্রামের মৃত আপ্তাব মিয়ার পুত্র ও উপজেলা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী।
নিহত বাছিতের বড় বোন রোজিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, “দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে বাড়ির রাস্তা নিয়ে আমাদের সাথে প্রতিবেশী মৃত নামর মিয়ার পরিবারের বিরোধ চলে আসছে। গতরাত (শুক্রবার) ১২টার দিকে নামর মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া একটি পিকআপে করে লাকড়ী নিয়ে এসে আমাদের রাস্তায় ফেলে রাখে। আমার ভাই আবদুল বাছিত সেখানে গিয়ে রাস্তায় লাকড়ী রাখার কারণ জানতে চায়। সাথে সাথে সুমন, একই বাড়ির তছলিম মিয়ার পুত্র কাইয়ুম, তুরণ মিয়ার পুত্র ফারুক মিলে বাছিতের উপর আক্রমণ চালায়। এ সময় সুমন আমার ভাই বাছিতের বুকে ছুরিকাঘাত করেন। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে (বাছিত) উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় দুই ঘন্টা পর মারা যান বাছিত।”
রোজিনা বেগম সাংবাদিকদের আরও জানান, “এই খুনের জন্যে দায়ী আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমদ সেলিম। তিনি আপোস-মীমাংসার নামে রাস্তা নিয়ে আমাদের দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধকে দিনের পর দিন জিউয়ে রেখেছেন। তাছাড়া আমার ভাইকে খুন করে যাওয়ার সময় সুমন, কাইয়ুম ও ফারুকেরা দম্ভ দেখিয়ে বলেছে, তাদের লিডার (সেলিম) আছেন, কেউ কিছু করতে পারবে না।”
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত সুমনের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, তার মা কাঞ্চন বেগম ছেলের বিরুদ্ধে উত্তাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে বলেন, ‘আমার ছেলে (সুমন) বাছিতকে খুন করেনি।’
অপর অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সেলিম আহমদ সেলিম বলেন, ‘উভয় পক্ষের বিরোধ আপোষে নিস্পত্তির জন্যে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আর এখন আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে তা ঠিক নয়।’
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘বাছিতকে ধারালো ছুরি দিয়েই আঘাত করা হয়েছে। তার লাশ সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
Leave a Reply