বাড়ি ময়মনসিংহে। তিনটি চেক জালিয়াতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। গত ৫ বছর ধরে সিলেটে তিনি আত্মগোপন করে ছিলেন। শুধু আত্মগোপনেই ছিলেন না, বড় হুজুরের বেশ নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছিলেন ইমামতি এবং মাদরাসায় শিক্ষকতার দায়িত্বও। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থেকে বহুরূপী ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন (শনিবার) তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
জানা যায়, ময়মনসিংহে তিন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আল আমীন ওরফে রায়হান (৪৫) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের আব্দুল মজিদ ওরফে মোতালেবের ছেলে।
রায়হান একজন প্রতারক। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় আরও প্রতারণার মামলা রয়েছে। গত ৫ বছর যাবত তিনি পলাতক। পলাতক থাকা অবস্থায় ২০১৮ ও ২০২০ সালের তিনটি চেক জালিয়াতি মামলায় আদালত তাকে সাজা দেন।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুলিশ জানতে পারে, আল আমীন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে বসবাস করছেন। শধু তাই নয়, বাহাদুরপুর গ্রামের একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা ও শরাফত জামে মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি গত ৫ বছর ধরে। এমন খবর পেয়ে গত শুক্রবার বাহাদুরপুর গ্রামের শরাফত জামে মসজিদে মুসল্লি সেজে নামাজ পড়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর শনিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে আল আমীন ওরফে রায়হানকে ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Leave a Reply