ডেস্ক: সিলেটের চার হাজীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঢাকার সাজিদ অ্যান্ড সাজিদ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালী থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) গণমাধ্যমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাতে মামলাটি করেন নগরীর কুয়ারপাড় এলাকার আব্দুল কাইয়ুম খাঁনের ছেলে রেজাউল করিম খাঁন (৩৪)। মামলায় আসামিরা হলেন- সাজিদ ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক অহিদুল আলম ভূঁইয়া, তার ছেলে সাজিদুল ইসলাম ও অহিদুল ইসলামের শ্যালক মো. শফিকুল ইসলাম। অহিদুল নরসিংদী জেলার মনোহরদি থানার মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, অহিদুলের ছেলে সাজিদুল ইসলাম ও শ্যালক মো. শফিকুল ইসলাম। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিম খাঁন তার এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় অহিদুল আলম ভূঁইয়ার সঙ্গে। নিয়মিত যোগাযোগের এক পর্যায়ে অহিদুল জানায় তার ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে পবিত্র হজ পালনে লোক পাঠিয়ে থাকে। হজ পালন ইচ্ছুক লোকদের তার মাধ্যমে হজে পাঠানো যাবে। পরে রেজাউল ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩৫ টাকা করে সিলেটের ৯ জনকে হজে পাঠানো বাবদ ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ১৫ টাকা তুলে দেন সাজিদ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সির মালিকের কাছে। পরে ওই এজেন্সি ৫ জনকে হজে পাঠালেও ৪ জনের টাকা আত্মসাৎ করে।
এমনকি পাসপোর্টও ফেরত দেয়নি। তাই ভুক্তভোগীদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি মামলাটি করেন। রাজধানীর উত্তরার আল-আমিন নামের একজন ভোক্তভোগি সিলেটভিউ জানান, অহিদুল আলম ভূইয়া নিজেকে পরিচয় দেন একজন ‘মুফতী’ হিসেবে। বিশ্ব ইজতেমায় গিয়ে মুসল্লীদের সাথে সখ্য গড়ে তোলেন তিনি। তাকে বিশ্বাস করে টাকা দেন হজ্ব করতে ইচ্ছুক শতাধিক ব্যক্তি। কিন্তু লাখ লাখ টাকা দেয়ার পর শেষ পর্যন্ত হজ্বে যেতে পারেননি ৪৪ জন।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, অর্থ আত্মসাৎ এর ঘটনায় তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে। তবে মূল অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।
Leave a Reply