সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে প্রতিনিয়তই আসছে চিনি। এসব চিনি উদ্ধারও করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অবৈধভাবে আসা এসব চিনিতেই এখন ছেয়ে গেছে সিলেটের হাট-বাজার।জানা যায়, দেশের বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায়। অপরদিকে ভারতে প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতে চিনির দাম কম হওয়ায় বেড়েছে চোরাচালান। সিলেটের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এখানকার বেশির ভাগ সীমান্তই দুর্গম এলাকায়। ফলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহলও কম। এই সুযোগে চোরাকারবারীরা অবাধে চিনি সহ বিভিন্ন ভারতীয় পন্য দেশে নিয়ে এসে বেশি দামে বিক্রি করছে।এসব চোরাচালান রোধে প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (১ অক্টোবর) সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৫০ কেজি ওজনের ১৪২ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পান্তুমাই গ্রাম থেকে ভারতীয় এসব চিনি জব্দ করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় এসআই পিন্টু সরকার বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় চোরাচালান আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পলাতক আসামী ডালিম মিয়া(২২), শাকিল (১৮), সালেহ আহমেদ (২২), জুয়েল (২২), আব্দুল মজিদ (৪২), সিদ্দিক (৫০)কে আসামি করা হয়েছে।এবিষয়ে গোয়াইনঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুল বলেন, অপরাধ, অপরাধীর সাথে আমাদের কোন সখ্যতা নেই। থানা এলাকাকে মাদক, চোরাচালান, চুরি, ডাকাতিসহ সব ধরনের অপরাধমুক্ত করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই অভিযান ও ভারতীয় চিনি উদ্ধার তারই ধারাবাহিকতার অংশ। যেকোন মূল্যে অপরাধমুক্ত থানা এলাকা গড়ে তুলতে পুলিশ বিভাগ কাজ করে আসছে।
Leave a Reply