ডেস্কঃ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউট সোর্সিংয়ে কর্মরত প্রায় পাঁচশ’ কর্মী গত কয়েক মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এ কারণে তাদেরকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, ওই হাসপাতালে ‘বুশরা কোম্পানী’র প্রায় ৩০০ (তিনশত) এবং ‘যমুনা কোম্পানী’র প্রায় ২০০ (দুইশত) কর্মী আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত রয়েছেন।
সূত্র জানায়, সরকার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩০০ কর্মী ‘বুশরা কোম্পানীর মাধ্যমে নিয়োগের অনুমতি দেন। ঢাকাস্থ স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে প্রতিমাসে মোট ১৬,৬২০ টাকা বেতন দেয়ার চুক্তিতে ওটি বয়, অফিস সহায়ক, ওয়ার্ড বয়,পরিচ্ছন্নতা কর্মী ইত্যাদি পদে লোক নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু, ওই কোম্পানীর পক্ষ থেকে কর্মচারীদেরকে প্রতি মাসে ১৪,০০০ দেয়া হতো। ২ বছর মেয়াদী এ চাকুরী দেয়ার সময় এজেন্টরা সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে ২ থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা নিয়ে চাকুরী দিয়েছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু, গত ৪ মাস যাবত তাদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হাসপাতালে শুরু হয়েছে চরম বিশৃংখলা। বেতন না পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের পরিবারগুলোতে চলছে আহাজারি। বেতন না পেয়ে কেউ কেউ অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করছেন। এ কারণে হাসপাতালের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া, এজেন্টদের সাথে হাসপাতালের স্থানীয় কিছু সিন্ডিকেট সদস্য যুক্ত থাকায় পরিস্থিতি আরো অবনতিশীল হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
একই হাসপাতালে ‘যমুনা কোম্পানী’র কর্মীরাও প্রায় ২ মাস যাবত বেতন পাচ্ছেন না।
যমুনা কোম্পানীর কর্মচারীবৃন্দ ৪,০০০ টাকা বেতনভুক্ত হলেও মাস শেষে পান মাত্র ২,০০০ টাকা। বাকী ২,০০০ টাকা স্থানীয় সিন্ডিকেট চক্রের পেটে যায় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এছাড়া, চাকুরী রিনিউ করতে সংশ্লিষ্টদের অযথা গচ্ছা দিতে হয় পাঁচ হাজার একশত টাকা। হাসপাতালের পরিচালকের আন্তরিক প্রচেষ্টার পরও বিষয়টির কুলকিনারা করতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারের ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুন্ন না হয় এবং সুযোগ সন্ধানী একটি গোষ্ঠীর অপতৎপরতায় এ হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সরকারের শক্তিশালী একটি টিমের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা প্রয়োজন। -সিলেটের ডাক
Leave a Reply