ডেস্কঃ সিলেটে বেকার স্বামী উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে তার স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে গেছেন। তার নাম বিশ্বজিৎ দেবনাথ। তিনি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নৃপেন্দ্র দেবনাথের ছেলে।
বর্তমানে মেজরটিলা এলাকার নুরপুর রাস্তার পাশের বিয়ানী হাউসের অধিবাসী। দাম্পত্য কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে নিহত সিমলা রানী নাথের বাবা জিতেন্দ্র দেবনাথ সিলেট গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আজ শুক্রবার (২১জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।
সিমলার বাবা বেসরকারি চাকরিজীবী জিতেন্দ্র দেবনাথ জানান, বিশ্বজিতের সাথে ৬/৭ মাস আগে সিমলার বিয়ে দিয়েছিলেন। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। ভাই বোনেরাও সরকারি চাকরি করে। তাই তিনি নিজে কিছু করতেন না। সারাদিন বেকার ঘুরে বেড়াতেন। আড্ডাবাজিতে মেতে থাকতেন।
এদিকে সিমলা নগরীর নয়াসড়ক এলাকায় একটি কসমেটিক্সের দোকানে চাকরি করতেন। আবার সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স পড়ছিলেন একুশ বছরের এ যুবতী। বেকার স্বামীকে বিয়ের পর থেকে একটা কিছু করার জন্য তাগাদা দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু বিশ্বজিৎ তার কথা শুনতেন না। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। কিছুদিন আগে সিমলা স্বামীর বাসা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বাবার বাড়িতে।
বিশ্বজিৎ তাকে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বৃহস্পতিবার (২০জুলাই) দুপুরের দিকে নিজের কিছু বখাটে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সিমলা কর্মস্থলে গিয়ে তাকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়েছেন। এ কারণে তার বাবা বৃহস্পতিবারই শাহপরাণ থানায় একটি জিডি দায়ের করেছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে বিশ্বজিৎ সিমলার মেজরটিলাস্থ নাথপাড়ার বাবার বাড়িতে উপস্থিত হন এবং এক পর্যায়ে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে কেটে পড়েন বলেও জানিয়েছেন জিতেন্দ্র দেবনাথ।
খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আবুল খায়ের। তবে বৃহস্পতিবার জিডি দায়েরের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ৬/৭ মাস আগে একটি জিডি দায়ের করা হলেও পরে তারা নিজেরা মিটমাট করে ফেলেছিল। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং আসামীকে ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
সিমলার লাশ বর্তমানে ওসমানী মেডিকেলের মর্গে রয়েছে। ময়না তদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তার বাবা জিতেন্দ্র দেবনাথ জানান।
Leave a Reply