ডেস্কঃ সিলেটে একদিনে দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ভোরে সিলেট সদর উপজেলার সাহেবের বাজারে জমিসংক্রান্ত বিরোদের জের ধরে একজন পল্লী চিকিৎসক ও এইদিন রাতে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেইটের সামনে ছুরিকাঘাতে আরও যুবক নিহত হয়েছেন।

জানা যায়, শনিবার (৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেইটের সামনে ছুরিকাঘাতে নাজিম আহমদ (২০) নামে এক যুবক নিহত হন। পেশায় সে হোটেল শ্রমিক। সে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার নুর মিয়ার পুত্র ও সিলেট নগরীর দরগা মহল্লা এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তবে তাৎক্ষনিক তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এদিকে শনিবার (৯ এপ্রিল) ভোর ছয়টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন সাহেবের বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ডা. মো. নিজাম উদ্দিন নামে এক পল্লী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। তিনি বাজারতল গ্রামের মৃত বশির উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে আটক করেছে।

জানা যায়, সাহেবের বাজার এলাকার সাতগাছি গ্রামের রাস্তার সামনের ভূমি নিয়ে নিজাম উদ্দিন ও নয়ন গংদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। শনিবার (৯ এপ্রিল) ভোর ছয়টার দিকে নয়ন পক্ষের লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে ধান কাটতে যায়। খবর পেয়ে নিজাম উদ্দিন ও তার ভাই আকরাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌছালে উপর পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ।

স্থানীয়রা জানান, দুই একর জমি নিয়ে পল্লী চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন ও একই এলাকার নয়ন মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি মিমাংসার জন্য এলাকায় সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিস থেকে দুই পক্ষকেই ওই জমি চাষাবাদে বিরত রাখা হয়। সালিশকারকরা নিজেদের মানুষ দিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি চাষাবাদের ব্যবস্থা করেন। সিদ্ধান্ত হয়, যে পক্ষ সালিশে জমির মালিকানা পাবে তারা ফসল নিবে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার (৯ এপ্রিল) সেহরির পরে অর্ধ শতাধিক লোক নিয়ে নয়ন মিয়া পক্ষ বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটতে যান।

খবর পেয়ে পল্লী চিকিৎসক আকরাম উদ্দিন ও অপর ভাই পল্লী চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন তার আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে ধান কাটতে বাধা দেন। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মো. নিজাম উদ্দিন। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আকরাম উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন।