1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৬ অপরাহ্ন

উ. কোরিয়ায় করোনায় বেহাল অবস্থা একদিনে আক্রান্ত প্রায় তিন লাখ

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২
  • ২১২ বার পঠিত

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে উত্তর কোরিয়া। সেখানে এই ভাইরাসে আরও কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ৪২ জনের। ওদিকে ননতুন করে ‘জ্বরে’ আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। পুরো দেশে এখনও টিকা দেয়া হয়নি এমন কমপক্ষে আট লাখ মানুষের সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সেখানে দেয়া হয়েছে কঠোর লকডাউন। আজ রোববার সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে, এদিন মারা গেছেন ১৫ জন। আর ‘জ্বরের’ লক্ষণ দেখা দিয়েছে কমপক্ষে দুই লাখ ৯৬ হাজার ১৮০ জনের। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দেশটি বৃহস্পতিবার স্বীকার করে যে, তারা বিস্ফোরণমুখী কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে কারণ, দেশটিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নাজুক। পরীক্ষার সক্ষমতা সীমিত। নেই টিকা দেয়ার কর্মসূচি। ফলে এই সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে সেখানে।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রুততার সঙ্গে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে তাদেরকে টিকা প্রস্তাব করা হচ্ছে। কিন্তু তা গ্রহণে মোটেই রাজি নয় পিয়ংইয়ং। রোববার কেসিএনএ রিপোর্টে বলেছে, সব প্রদেশ, শহর এবং মহল্লা পুরোপুরি লকডাউনে রয়েছে। ১২ই মে সকাল থেকে প্রতিটি কর্মক্ষেত্র, উৎপাদন ইউনিট এবং আবাসিক এলাকা বন্ধ রয়েছে। সব মানুষের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এর একদিন আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন করোনা মহামারির কথা স্বীকার করেছেন। বলেছেন, কোভিড-১৯ তার দেশে বড় এক দুর্বিপাক সৃষ্টি করেছে। এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে লকডাউন থাকা সত্ত্বেও শনিবার তার পিতা কিম জং-ইলের শাসনকালে রাষ্ট্রীয় মূল দায়িত্বে থাকা ইয়াং হিয়ং-সোপের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে শনিবার যোগ দিয়েছিলেন নেতা কিম জং উন ও অন্য সিনিয়র নেতারা।

ওদিকে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপকষ মহামারি প্রতিরোধী বিভিন্ন পোস্ট স্থাপন করেছে। কেসিএনএ বলেছে, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। সিনিয়র কর্মকর্তারা মজুদে থাকা ওষুধ দান করছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যারা মারা গেছেন তাদের বেশির ভাগই ঠিকমতো ওষুধ সেবন করেননি। কারণ, তাদের এ সম্পর্কে সচেতনতা ছিল না। এছাড়া সংক্রমণ হয়েছে ওমিক্র ভ্যারিয়েন্টে।

কোরিয়ান সেন্ট্রাল টেলিভিশনে শনিবার রাতে জ্বরআক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে কিমানয়ু হাসপাতালের একজন ডাক্তার রোগীদের লবণপানি দিয়ে গার্গল করতে পরামর্শ দেন। উচ্চ মাত্রার জ্বর, মাথাব্যথা, মাংসপেশী ও জয়েন্টে ব্যথা হলে বিভিন্ন রকম ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x