জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় রোমানিয়ায় রাস্তায় নামে শত শত মানুষ। চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। ফ্রান্সেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বেতন বাড়ানোর দাবিতে সেখানের নাগরিকরা পালন করেছেন নানা কর্মসূচি। কারণ বর্তমান মূল্যস্ফীতি অনুযায়ী তাদের বেতন বাড়েনি। তাছাড়া চেক রিপাবলিকে সরকারের জ্বালানি সংকট মোকাবিলার ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখা গেছে। অসহনীয়ভাবে মূল্য বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাজ্যের রেল শ্রমিকরা ও জার্মানির পাইলটরা ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন।
মূল্যস্ফীতির ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মূলত অঞ্চলটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন লিজ ট্রাস। অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তিনি।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউরোপে জ্বালানি ও খাদ্যের মূল্য বেড়ে যায়। যদিও এরই মধ্যে গ্যাসের দাম গ্রীষ্মের সর্বোচ্চ হার থেকে কমেছে। সরকারগুলো এরই মধ্যে বরাদ্দও বাড়িয়েছে। তারপরও অনেকের কাছে তা যথেষ্ট নয়।
জ্বালানি খরচ বাড়ায় অঞ্চলটির ১৯ দেশে মূল্যস্ফীতি লাফিয়ে বাড়ছে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় দশমিক নয় শতাংশে। এতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। কিনতে পারছেন না প্রয়োজনীয় জিনিস।
ফ্রান্সের একজন বিক্ষোভকারী বলেন, বেতন বাড়ানোর দাবিতে মানুষ বিক্ষোভের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। সম্প্রতি ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি শহরে ১০ হাজারের বেশি মানুষে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
ভেরিস্ক ম্যাপলক্রফটের বিশ্লেষক টর্বজর্ন সল্টভেড বলেছেন, জ্বালানি সংকট খুব সহজেই কাটবে না। আগামী বছর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
Leave a Reply