ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। কুশিয়ারা নদীর পানি মহাবিপৎসীমায়, জানালেন ফেঞ্চুগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। উজানের ঢল আর অবিরাম বৃষ্টিতে কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার দুপুর ১২টায় রেকর্ড হয়েছে ১০ মিটার ৫২ সেন্টিমিটার। এদিকে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান জানালেন বন্যা মোকাবেলায় পর্যপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।
এদিকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২৪ হাজার পরিবার রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থের তালিকায়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিন।
তিনি জানান, উপজেলার উঁচু স্থানে থাকা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে, এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩২০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। তদেরকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।সোমবার (২০ জুন) থেকে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৪ মে. টন করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই কয়েক দিনে ১৮ মে. টন চাল ও ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও সীমা শারমিন।
এ ব্যাপারে সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বন্যা মোকাবেলায় পর্যপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। রোববার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সভায় বন্যা মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি ফেঞ্চুগঞ্জের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন এমপি হাবিব।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারসহ উপজেলা সদরের প্রধান সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। বাজারের গলিতে চলছে নৌকা। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানান, বন্যার এমন অবস্থায় সজাগ দৃষ্টি রয়েছে তাদের।
জানা যায়, ব্যাক্তি উদ্যোগে রান্না করা খাবারও দেয়া হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। শনিবার রাতে ও রোববার সকালে বৃটেনের চ্যারেটি সংস্থা দাব্বাগ ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট এর উদ্যোগে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয় ফরিদপুর সরকারী প্রাথামক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে, জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমন্বয়ক আব্দুল হাই নন্না।
Leave a Reply