কোম্পানীগঞ্জে শাহ আলম (৩০) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত শাহ আলম নতুন জীবনপুর (গাছঘর) গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মেম্বারের ছেলে।মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের আমেরতল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হিংড়ি হাওর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব পরিচয় সুবাদে শাহ আলমের সঙ্গে আমেরতল গ্রামের মৃত হাজী ফুল মিয়ার ছেলে এখলাছ মিয়ার স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাহ আলমকে এখলাছের বাড়িতে এলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে এখলাছসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও অংশ নেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে হত্যার পর লাশ গুম করে রাখা হয়।
খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ বুধবার সকাল ৯টায় ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। দিনভর খোঁজাখুঁজি করে বিকাল সাড়ে ৩টায় হিংড়ি হাওর এলাকা থেকে বন দিয়ে ঢাকা ও হাত বাঁধা অবস্থায় পুলিশ শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে পুলিশের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে দিনভর খোঁজাখুঁজি করে ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে হিংড়ি হাওর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন মহিলাকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।