1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

সিলেটের নিম্নাঞ্চল বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৬ মে, ২০২২
  • ২০১ বার পঠিত

জৈন্তাপুরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে পাহাড়ি ঢলে ঢলে বড়গাং ও সারী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে মসজিদ, স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ঝুকিঁপূর্ণ হয়ে ওঠেছে সারী-গোয়াইন বেড়িবাধ, আতঙ্কিত মানুষ ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সারী নদীর পানি বিপদসীমার .৪৪ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

গত ১১ মে থেকে জৈন্তাপুর উপজেলায় টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা শুরু হয়। বিগত দিনে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ১৫ মে রোববার গভীর রাত থেকে নদীগুলোর পানি পূনরায় বৃদ্ধি পায়। সোমবার ভোর থেকে বড়গাং ও সারী নদীর পানি বিপদসীমার .৪৪ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা গত রোববারের চেয়ে .৩৯সেঃমিঃ বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় জৈন্তাপুর উপজেলায় সর্বোচ্ছ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০৫ মিঃমিঃ। একটি সূত্রে জানা গেছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জি ও জোয়াই এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪২৪মিঃ মিঃ।

মূলত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের অধিক পরিমাণের এই বৃষ্টির পানি বড়গাং, নয়াগাং ও সারী নদীর উপর প্রভাব পড়ে। ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর, বাওন হাওড়, শেওলাটুক, চাতলার পাড়, ঢুলটির পাড়, আমবাড়ী, খারুবিল, মুক্তাপুর, কাটাখাল, গড়ের পাড়, মোয়াখাই, বাউরভাগ, লামনীগ্রাম, ভিত্রিখেল, লামাবস্তি, বিড়াখাই, হাটিগ্রাম, গাতিগ্রাম। ১নং নিজপাট ইউনিয়নের ডিবির হাওড়, ফুলবাড়ী, খলারবন্দ, গৌরীশংকর, মাহুত হাটি, ময়নাহাটি, নয়াবাড়ী, বন্দরহাটি, মেঘলি, বড়খেল, লক্ষীপ্রসাদ, হার্ণি, নয়াগ্রাম, বাইরাখেল। ৩নং চারিকাটা ইউনিয়নের থুবাং, গৌরী, বালিদাড়া, নয়াখেল, লালা। ৪নং দরবস্ত ইউনিয়নের মহাইল, মুটগুঞ্জা, সেনগ্রাম, গর্দনা, ফরফরা, শুকইনপুর, রনিফৌদ, সাতারখাই। ৫নং ফতেপুর ও ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের হাওড় অঞ্চলের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নারী, শিশু ও গবাদি পশু নিয়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে। অনেকে আবার ঘরের মধ্যে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে অবস্থান করছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৬ মেঃ টঃ চাল ও কিছু শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আগামী দিনের জন্য আরো ১২ মেঃটঃ চাল ইউনিয়ন ভিত্তিক বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়ার একটি সূত্র জানিয়েছে বাংলাদেশ নয় ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টিপাত কমলে জৈন্তাপুরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে। তা না হলে এই বন্যা ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আশংকা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলায় এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত ৪০ একর হালিতলা পানির নিচে নিমজ্জিত এবং প্রায় ১শ হেক্টর বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এব্যাপারে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্নয় করা সম্ভব হচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল বশিরুল ইসলাম বলেছেন আমরা ইতোপূর্বে পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। একই সাথে পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেটও বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি মানুষের সহায়তায় সার্বক্ষণিক কাজ করতে প্রস্তুত আছি। এদিকে দিনব্যাপি ভানবাসি মানুষের খোজ-খবর নেন জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. বশির উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন পলিনা রহমান, জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, সুলতান করিম, বাহারুল আলম বাহার, শ্রমিকলীগ নেতা শওকত আলী মেম্বার। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা বন্যার্থ মানুষের পাশে দাড়াতে দেখা যায়।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x