জগন্নাথপুরের এক গৃহবধূকে শ্রীমঙ্গল ও সিলেটে নিয়ে গ্যাং রেপ করেছে ৭ নরপশু। এ সময় তারা ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলফোনে ধারণ করে। এ ঘটনার প্রধান আসামি হোসেনকে সিলেট শহরতলীর দুসকি বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারের পর সে র্যাবের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ঘটনা গত ২৬শে এপ্রিলের। ওই দিন জগন্নাথপুরের অলৈতলি গ্রামের ফারুক মিয়া তার স্ত্রী ও এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে শ্রীমঙ্গলে লেবু কিনতে এবং বেড়াতে যান।
ফেরার পথে স্বামী ফারুক বিক্রির জন্য কেনা লেবু নিয়ে পিকআপে ফিরলে স্ত্রীকে গাড়িতে করে বাড়ি পাঠান। কিন্তু গাড়িতে ৭ যুবকের মধ্যে জালালাবাদ এলাকার হোসেন, কেবশপুর এলাকার আজহার আহমদ ওই গৃহবধূকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তাদের সহযোগী তোতা মিয়া ও আছকির। পরে গাড়িতে উঠে তারা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের ছবি দেখায় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে
ওই দিন মধ্যরাতে তারা গৃহবধূকে মাইক্রোবাসযোগে নিয়ে আসে সিলেট নগরীর চন্ডিপুল এলাকায়। সেখানে তারা একটি নির্জন ঘরে নিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালায়। এতে গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। পরদিন ২৭শে এপ্রিল সকালে ওই গৃহবধূকে কিনব্রিজের উপর রেখে পালিয়ে যায়। এদিকে এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
এদিকে র্যাব সদস্যরা মামলা দায়েরের পর আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। বুধবার রাতে তারা অভিযান চালিয়ে সিলেট শহরতলীর দুসকি বাজার এলাকা থেকে প্রধান আসামি হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর হোসেন দল বেঁধে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply