1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০১ অপরাহ্ন

সিলেট পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মহিলাকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে সাক্ষর নেয়ার অভিযোগ

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৯৮ বার পঠিত

ডেস্কঃ  সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক পাসপোর্ট গ্রহিতাকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে সাক্ষর নেয়ার অভিযোগে সিলেট মেট্রোপলিটন জর্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানাধীন গোটাটিকর পাঠানপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাহারা খানম (৫৩)। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য মোগলাবাজার থানাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নগরীর গোটাটিকর পাঠানপাড়া এলাকার বাসিন্দা বায়োবৃদ্ধ সাহারা খানম পবিত্র হজ্ব পালন করার জন্য সৌদী আরবে যাওয়ার জন্য নতুন পাসপোর্ট তৈরির উদ্দেশ্যে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক চালানের টকা জমা দিয়ে গত ১০ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে ফাইল জমা দেন।

নিয়ম অনুযায়ী ফাইল জমা দিলেও অফিসের কর্তব্যরতরা ফাইলে বিশেষ চিহ্ন ‘মার্কা’ না থাকায় তা অনলাইনে নিবন্ধন করেন নি বলে জানান। এজন্য পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গার না নিয়ে বারবার তাকে হয়রানি করতে থাকলে তিনি বিষয়টি গত ১৪ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে গিয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে বিষয়টি অবগত করে পাসপোর্ট পেতে তাঁর সহযোগিতা চান।

পরে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে তিঁনি সুপারিশ করেছেন জানানোর জন্য বললে যথারীতি সাহারা খানম তা জানান। তারপই তার উপর ক্ষেপে যান পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। তারা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের চাকরি করেন না এবং তিনি কেন উনার কাছে গিয়েছেন বলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।

তখন সাহারা খানম বাধ্য হয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক উম্মে সালমা তানজিয়ার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোনে কল দিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি তাকে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলামের কাছে গিয়ে তাঁর নাম বললে তিনি সাহারা খানমের পাসপোর্ট এর ফিঙ্গার নেওয়ার বিষয়ে সহায়তা করার ব্যবস্থা করে দিবেন।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ নভেম্বর সকাল অনুমান সকাল ১১টায় সময় সাহারা খানম সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের কক্ষে গিয়ে তাকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালকের কথা বললে তিনি আমাকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন। আনুমানিক ২ ঘন্টা পর সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম সাহারা খানমকে বলেন যে, আপনার পাসপোর্টের জন্য জনৈক ছয়েফ খানকে ৮ হাজার টাকা দিয়েছেন মর্মে একটা লিখিত অভিযোগ দিলে আপনার ফিঙ্গার নেওয়া হবে।

এই কথা শুনে সাহারা খানম পাসপোর্ট করার জন্য কাউকে কোন টাকা দেই নাই এবং কোন লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করলে পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম তাঁকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদান করেন।

একপর্যায়ে তিনি তার অফিসে কর্মরত আরও ২ জন কর্মকর্তাকে ডেকে এনে কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন। তখন যদি তার কথা মতো একটি লিখিত অভিযোগ না করি তাহলে তিনি সাহারা খানমকে শারিরিক লাঞ্ছনা ও প্রাণে মারার হুমকি দেন। তখন তিনি প্রাণ ভয়ে তার কথামতো একটা সাদা কাগজে ‘ছয়েফ খানকে আমার পাসপোর্টের জন্য ৮ হাজার টাকা দিয়েছি’ লিখিয়া দিলে তিনি তার অফিসের কর্মরত আরও ২ জন কর্মকর্তার মাধ্যমে আমার পাসপোর্টের ফিঙ্গার নেন।

পরে ভোক্তভোগী সাহারা খানম বাসায় ফিরে তার আত্মীয় স্বজনের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য তিনি মোগলাবাজার থানায় গত ১৬ নভেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরী করেন এবং সোমবার সিলেট মেট্রোপলিটন জর্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এর আগেও অনেক খবর পত্রিকাতে প্রকাশ হয়েছে নির্দিষ্ট মার্কা না থাকলে ফাইল জমা হয় না। সিলেটে তাদের কিছু নির্দিষ্ট এজেন্সির মানুষ আছে তাদের কে দিয়ে মার্কা দেওয়া ও টাকা কালেকশন করে পাসপোর্ট অফিসে কিছু কর্মকর্তা সে টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয় চেয়ার প্রতি পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা, কিন্তু এসব খবর প্রকাশের পরও কেউ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের ঘুষ বাণিজ্য রমরমা হচ্ছে। ফেরদৌস আহমদ পাসপোর্ট অফিসে নিজের পাসপোর্ট জমা দিতে এসে জানান তার সবকিছু টিকটাক থাকা সত্বেও তার পাসপোর্ট  জমা নেয়নি, পরে একটা এজেন্সির কাছে মার্কা (ঘুষ) দিয়ে গেলে তখন সেই ফাইল জমা হয়েছে। এরকম শত শত মানুষ ভোগান্তীতে দেখর কেউ নেই গরীবের টাকা শিক্ষিত ঘুষখোরদের পকেটে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x