ডেস্কঃ হাসপাতাল থেকে পালানো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত বুলবুল আহমেদের সঙ্গে থাকা ছাত্রী ‘বান্ধবী’ মার্জিয়া আক্তার ঊর্মিকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটায় নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল থেকে ওই ছাত্রী জনৈক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুলবুলের মরদেহ দেখে মুর্ছা যাওয়া ওই ছাত্রীকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। মঙ্গলবার বিকেলে সে পালিয়ে যায়। পরে নগরীর উপকন্ঠ বাদাঘাট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে আসার পথে তাকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বুলবুল হত্যার ঘটনাটি প্রথমে ছিনতাইকারীর উপর দায় চাপিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে ৩ ছিনতাইকারীকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ঘটনায় র্যাব একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আর আমরা মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতালে তার রুম থেকে বের হন। দীর্ঘ সময় রুমে ফিরে না আসায় তার রুমে থাকা সহপাঠীরা আশেপাশে খুঁজে না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানালে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, উর্মি একটি ছেলের সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চলে যাচ্ছে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেছেন ও খতিয়ে দেখতে পুলিশকে অবগত করেছেন।
অবশেষে সন্ধ্যার আগে ওই ছাত্রীকে বাধাঘাট এলাকা থেকে ফেরার পথে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের টিলায় ঘুরতে গিয়ে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মারা যান শিক্ষার্থী বুলবুল।
নিহত মো. বুলবুল আহমদ নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার নন্দীরপাড়ার চিনিশপুরম গ্রামের ওয়াহাব মিয়ার ছেলে। তিনি শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের(২০১৮১৯ সেশন) শিক্ষার্থী ছিলেন।
Leave a Reply