ডেস্কঃ সিলেট সিলেট দক্ষিণ সুরমায় প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধের কান ও দুটি আঙুল বিচ্ছিন্ন ১০ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ ॥ নিরাপত্তাহীনতায় বাদীর পরিবার নিজস্ব প্রতিবেদক দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুরের কাদিপুর (গাংপাড়) গ্রামে জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে আপন ভাতিজা-ভাতিজির হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন কাদিপুর (গাংপাড়) গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার পুত্র তুফুর মিয়া। হামলায় তফুর মিয়ার ডান কান ও হাতের দুটি আঙুল শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ১৩ এপ্রিল তুফুর মিয়ার স্ত্রী আয়শা বেগম বাদী হয়ে মোগলাবাজার থানায় একটি মামলা (০৭/৫৬) দায়ের করেন। মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, আয়েশা বেগমের স্বামী তুফুর মিয়ার সঙ্গে মনু মিয়ার ছেলে চিহ্নিত অপরাধী ধর্ষনসজ একাধিক মামলার আসামি আল-আমিন ওরফে বতন ও মেয়ে আলেখা বেগমের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধ নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা শালিসের মাধ্যমে বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি করে দেন। কিন্তু মনু মিয়ার ছেলে-মেয়ে এই আপোষ নিষ্পত্তি না মেনে গত ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে জালালপুর বাজার থেকে বাসায় আসার পথে ভাতিজা আলা আমিন ও ভাতিজি আলেখার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তুফুর মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তুফুর মিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপালে তুফুর মিয়ার ডান কান এবং দুটি আঙুল শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়ও তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারত্মক জখম করা হয়। এসময় তার আত্মচিৎকারে গুরুতর আহতবস্থায় স্থানীয়রা থাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিন্তু মামলার দশ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত প্রধান আসামি আল আমিন ও আলেখা বেগমকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না মোগলাবাজার থানাপুলিশ। এ বিষয়ে মামলা বাদী তুফুর মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার স্বামী মৃত্যু পথযাত্রী। হামলা ও মামলার ঘটনায় দশদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তর করতে পারছেন না। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তাছাড়া আসামিরা মামলা তুলে নিতে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে। এখন আমি ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. শামসুদ্দোহা বলেন, আমরা আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply