ডেস্কঃ হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতা সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত তিন দিন ছুটির পরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও বন্দরে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল কম।
প্রতিদিন দুপুর থেকে ট্রাকভর্তি পেঁয়াজ বন্দরে একে একে প্রবেশ করতে থাকে। ট্রাকগুলো বন্দরে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয় বিক্রির উদ্দেশ্যে। তবে ক্রেতা অনেকটাই কম। যেসব ক্রেতারা আসছেন তারাও অপেক্ষায় আছে মোকামগুলো থেকে ফোন আসার।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন পাইকারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত তিন দিন ছুটির আগে হিলি স্থলবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজগুলো বিভিন্ন মোকামে মজুত থাকার কারণেই পেঁয়াজের চাহিদা অনেক কমেছে।
আরেকজন পাইকার বলেন, মোকাম থেকে ফোনের অপেক্ষায় আছি। প্রতিদিন চার-পাঁচ ট্রাক পেঁয়াজ কিনে থাকি। আজকেও দুই ট্রাক পেঁয়াজ কিনেছি। অন্যান্য আড়তে পেঁয়াজ কিনে দেই। তারা এখনো ফোন করেনি। জানালে হয়তো আরো পেঁয়াজ কিনব।
পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলেন, আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের ইম্পোর্ট পার্মিট আইপির মেয়াদ আছে। যেহেতু মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে যার কারণে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু হিলি স্থলবন্দর না বাংলাদেশের অন্যান্য স্থলবন্দরগুলো দিয়েও পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ার কারণেই মূলত পেঁয়াজের ক্রেতা অনেকটাই কম।
হিলি স্থলবন্দরে সোমবার (২১ মার্চ) আমদানি হয়েছে ইন্দ্র, নাসিক, নগর জাতের পেঁয়াজ। এসব পেঁয়াজ ট্রাক সেলে বিক্রি হচ্ছে। ইন্দ্র জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকা কেজিতে , নাসিক বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৬ টাকা, নগর বিক্রি হচ্ছে ২৩-২৫ টাকা কেজি দরে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম নুরুল আলম খান বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচাপণ্য তাই শুল্কায়ন শেষে দ্রুত ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, গত সপ্তাহের ৭ কর্মদিবসে ২৯৩ ট্রাকে ৮ হাজার ৩২৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। চলতি সপ্তাহের ২ কর্মদিবসে আমদানি হয়েছে ভারতীয় ৫৯ ট্রাকে ১ হাজার ৬১৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
Leave a Reply