ঈদের পর ব্যস্ত সময় পার করছেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।ঈদ ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মী ও নগরবাসীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর সুযোগ ভালোভাবই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন তিনি।

ঈদের নামাজের পর নগরীর ভোটার ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোলাকুলি, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, আপ্যায়ন, দুস্থদের সহায়তায় মাধ্যমেই ঈদকেন্দ্রিক কর্ম তৎপরতা শুরু হয় তাঁর এরই ধারাবাহিকতায় রোববার ও সোমবার নগরীর চালিবন্দরের বাসায় দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সেই সঙ্গে নগরীর বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার দায়িত্বশীলদের বাসা-বাড়িতে ছুটছেন তিনি। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিমওয়র মাধ্যমে তিনি তাদের সমর্থন আদায়েরও চেষ্ঠা করছেন।

সিলেট হচ্ছে ধর্মীয় সম্প্রতির অন্যন্য উদাহরণ: রোববার (২৩এপ্রিল) দিবগত রাত ১টার দিকে রাজর্ষি ভাগ্যচন্দ্র কালচারাল ফাউন্ডেশন,মণিপুর-ভারত ও বাংলাদশের একাডেমী ফর মণিপুরী কালচার অ্যান্ড আর্টস (এমকা) সিলেট’র যৌথ আয়োজিত দশ দিনব্যাপি কর্মশালার শেষ দিনে প্রধান বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এমকা, সিলেট’র সভাপতি অ. দিগেন সিংহেরসভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি বলেন, সিলেট হচ্ছে ধর্মীয় সম্প্রতির অন্যন্য উদাহরণ।এই অঞ্চলের মানুষ নিজ নিজ ধর্মের উৎসব পালন করতে পারেন নির্বিঘ্নে।সরকার প্রতিটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কোনো কাজ বা কোনো কিছু করতে হলে তার জন্য অনুশীলন প্রয়োজন।সিলেটে অনেক মণিপুরী রয়েছেন। মণিপুরি নৃত্য এখন সিলেটের ঐতিহ্য।

এটিকে ছড়িয়ে দিতে কর্মশালার বিকল্প নেই। কার্মশালার মাধ্যমে মণিপুরি নৃত্য আরও বিকাশিত হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদসহ নেতৃবৃন্দ।