1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন

শহরের নীরব ঘাতক শব্দ দুষন

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : বুধবার, ১০ মে, ২০২৩
  • ১৪৫ বার পঠিত

জাবেদ এমরান: বিধিমালা অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় রাত নটা থেকে ভোর ছটা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল এবং দিনের অন্য সময়ে ৫৫ ডেসিবেল অতিক্রম করতে পারবে না। বাণিজ্যিক এলাকায় তা যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ ডেসিবেল।

 

হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও তার আশপাশে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা রয়েছে। সেখানে রাতে ৪০ ও দিনে ৫০ ডেসিবেল শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া আছে। বাস্তবে শব্দের মাত্রা ১০০ থেকে ১৫০ ডিসিবেল এর কাছাকাছি।

শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী চিহ্নিত এলাকাগুলোতে জনসচেতনতায় (নিরব, আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প ও মিশ্র) পর্যাপ্ত সাইনপোস্ট বসানো। শব্দ দূষণ আইন প্রয়াগ করা। যাত্রী, চালক, যানবাহন মালিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে শব্দ দূষণ অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, পুলিশ বলছে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে কাজ করছে।

এ বিষয়ে কথা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান, গলা (সার্জারি) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা: মনিলাল আইচ লিটুর সাথে। তিনি সিলেট বাণীকে বলেন, সিলেটে শব্দ দূষণ নিয়ে কোনো গবেষণা করা হয়েছে বলে জানা নেই। তবে, ২০১৭ সালে এক গবেষণায় দেখা যায় ঢাকায় শতকরা ৩৫ ভাগ মানুষ কানে কম শুনছে। ১৭ থেকে ২০ ভাগ মানুষের কান নষ্ট হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। যে হারে শব্দ দূষণ বাড়ছে ২০৩৫ সালের দিকে বধির মানুষের সংখ্যা অত্যাধিক বেড়ে যাবে বলে তিনি মনে করছেন। শব্দ দূষণ নিয়ে গবেষণাকারী অধ্যাপক ডা: মনিলাল আইচ লিটু আরো বলেন, শব্দ দূষণ প্রতিরোধে শব্দ দূষণ আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হলে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে অনেকাংশে শব্দের কারণে সৃষ্ট রোগ ব্যাধি কমে আসবে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ইলিয়াছ শরীফ সিলেট বাণীকে বলেন, যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার আইনিভাবে নিষিদ্ধ। এটার বিরুদ্ধে পুলিশের সব সময় ব্যবস্থা নেয়ার কথা। শব্দ দূষণ প্রতিরোধে ট্রাফিক বিভাগকে কাজ করতে এখন-ই নির্দেশনা দিচ্ছেন বলে তিনি জানান।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x