1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনঃ দক্ষিণ সুরমায় ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস জালালাবাদ থানা রিকশা ও রিকশাভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালন দক্ষিণ সুরমা রেস্তোরা মালিক সমিতি’র জরুরী সভা অনুষ্ঠিত গরম থেকে বাঁচতে ট্রাফিক পুলিশদের এসি হেলমেট দিলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভায় শ্রমিকদের যথাযথ মুল্যায়নের দাবী দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে জুয়েল আহমদ যারা কথায় কথায় স্যাংশনস দেয় তারা ঘরে ঢুকে মানুষ হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা ব্রিজের কাজ না করেই ১৫ লাখ টাকার বিল উত্তোলন করে নিজাম এন্টারপ্রাইজ

ইসরায়েলের যাকে বেশি ভয় চালাতে পারে গোপন অভিযান

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৬৫ বার পঠিত

ডেস্ক: বিশেষজ্ঞদের মতে, দলটি তার দীর্ঘকালীন শত্রু ইসরাইলের বিরুদ্ধে নতুন লড়াইয়ে দেশটির জন্য শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। ২০২১ সালে এক লাখ যোদ্ধা রয়েছে বলে দাবি জানিয়েছিল দলটি। যদিও ইসরাইলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ (আইএনএসএস) জানিয়েছে, তাদের এই যোদ্ধার সংখ্যা অর্ধেক। স্বাধীন মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ইভা কৌলোরিওটিস অনুমান করেছেন, হিজবুল্লাহর ২০ হাজার উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোদ্ধা রয়েছে। আর রিজার্ভ সেনা রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। রিজার্ভ সেনারা লেবাননে তিন মাস আর ইরানে তিন মাসের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগারে এক লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে আইএনএসএস। যার মধ্যে রয়েছে শত শত শক্তিশালী রকেট।

ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ২০২০ সালে অনুমান করেছে, এই দলের কাছে ২০ হাজার সক্রিয় যোদ্ধা ও প্রায় ২০ হাজার অস্ত্রের রিজার্ভ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ছোট অস্ত্র, ট্যাঙ্ক, ড্রোন ও বিভিন্ন দূরপাল্লার রকেট। হিজবুল্লাহ গত মে মাসে ইসরাইলে একটি আন্তঃসীমান্ত অভিযান চালিয়েছে। যার মধ্যে ইরান, সিরিয়া, রাশিয়া ও চীনের অস্ত্রব্যবস্থাও ছিল।

হিজবুল্লাহ মূলত একটি লেবাননভিত্তিক শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত রাজনৈতিক দল। যার রয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা, রাজনৈতিক সংগঠন ও সামাজিক পরিষেবা নেটওয়ার্ক। দলটির মূল লক্ষ্য ইসরাইল আর মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা প্রভাবের বিরোধিতা করা। হিজবুল্লাহর উত্থান: ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত লেবাননে ১৫ বছরের গৃহযুদ্ধ চলাকালীন হিজবুল্লাহর আবির্ভাব ঘটে। সেসময় আরব রাষ্ট্রে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ হিসাবে ইরান ও তার ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) লেবাননের উদীয়মান ইসরাইলবিরোধী গোষ্ঠীকে বিভিন্ন তহবিল ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে। আর এই দলই হিজবুল্লাহ নামটি গ্রহণ করেছিল। যার অর্থ ‘আল্লাহর দল’। হিজবুল্লাহ ইরানের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে ওঠেছিল।

হিজবুল্লাহ নিজেকে একটি শিয়া প্রতিরোধ আন্দোলন হিসাবে গড়ে তুলেছে। ১৯৮৫ সালের একটি ইশতেহারে নিজেদের মতাদর্শকে অন্তর্ভুক্ত করে। ইশতেহারে লেবানন থেকে পশ্চিমা শক্তিকে বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতি দেয় দলটি। এতে ইসরাইল রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার আহ্বানও জানানো হয়। এছাড়া ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। দলের সংগঠন: হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসারাল্লাহ (৬৩)। তিনি ১৯৯২ সালে ইসরাইল গ্রুপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও পূর্ববর্তী নেতা আব্বাস আল-মুসাভিকে হত্যার পর সেক্রেটারি-জেনারেলের দায়িত্ব নেন। নাসারাল্লাহ সাত সদস্যের শূরা কাউন্সিল ও এর পাঁচটি উপ-কাউন্সিলের তত্ত্বাবধান করেন। উপ-কাউন্সিলগুলো হলো-রাজনৈতিক সমাবেশ, জিহাদ সমাবেশ, সংসদীয় সমাবেশ, নির্বাহী পরিষদ ও বিচারিক সমাবেশ। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের অনুমান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী হিজবুল্লাহর কয়েক হাজার সদস্য ও সমর্থক রয়েছে। হিজবুল্লাহ লেবাননের বেশিরভাগ শিয়া-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। দলটির অবস্থান লেবাননে হলেও এর ইশতেহারে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এর কার্যক্রম শুধু অভ্যন্তরীণ সীমানার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে পরিচালনা করা হয়।

লেবাননের রাজনীতিতে হিজবুল্লাহর ভূমিকা : হিজবুল্লাহ ১৯৯২ সাল থেকে লেবাননের রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে শুরু করে। সেসময় দলটির আটজন সদস্য সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। দলটি ২০০৫ সাল থেকে মন্ত্রিসভা পদে অধিষ্ঠিত হয়েছে। আর ২০০৯ সালে একটি আপডেট ইশতেহারের মাধ্যমে মূলধারার রাজনীতিতে যোগ দেয় দলটি। ২০২২ সালের জাতীয় নির্বাচনে হিজবুল্লাহ লেবাননের ১২৮ সদস্যের সংসদে ১৩টি আসন পায়। ইসরাইলের প্রতি এই দলের অবস্থান: ইসরাইল হিজবুল্লাহর প্রধান শত্রু। ১৯৭৮ সালে দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের দখলদারিত্বের সময় হিজবুল্লাহ অন্যান্য দেশে ইহুদি ও ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছিল।

২০০০ সালে ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। যদিও এখনো এটি হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষ অব্যাহত রেখেছে। হিজবুল্লার ২০০৯ সালের ইশতেহারে ইসরাইল রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে হিজবুল্লাহর সম্পৃক্ততা: হামাস ইসরাইলে অভিযান চালানোর পর হিজবুল্লাহও ইসরাইল-লেবানন সীমান্তজুড়ে গুলি চালিয়েছে।

এই কার্যক্রমকে দলের নেতারা হামাসের সঙ্গে ‘সংহতি’ বলে অভিহিত করেছেন। ইসরাইলে হিজবুল্লাহ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল বলেও জানা গেছে। হামাসকে আরও সমর্থনের ইচ্ছার ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। সংগঠনের ভবিষ্যৎ: বিশেষজ্ঞদের মতে, হিজবুল্লাহর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক প্রসারিত হচ্ছে। তবে দলটি ইসরাইল অথবা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে আগ্রহী নয়। এর পরিবর্তে কিছু গোপন অভিযান চালাতে পারে দলটি।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x