ডেস্কঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে বুধবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় রাতভর দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। সিলেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও লালাবাজার এলাকার ভালকি গ্রামের বাসিন্দা মোনায়েম খাঁন বাবুলের ছেলের সঙ্গে খাজাখালু গ্রামের মসজিদের মুতাওয়াল্লির ছেলের কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতির জের ধরে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
লালাবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল আফিয়ান চৌধুরী গণমাধ্যম-কে বলেন, বুধবার দিনের বেলা খাজাখালু গ্রামের মসজিদের মুতাওয়াল্লির ছেলে লালাবাজারের পশ্চিমে ভালকি গ্রামের রাস্তার সামনে সহপাঠীদের জন্য অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় মোনায়েম খাঁন বাবুলের ছেলে গাড়ি নিয়ে দ্রুত গতিতে ওই রাস্তা দিয়ে আসছিলেন। এসময় মুতাওয়াল্লির ছেলে গাড়ির গতি কমানোর জন্য সিগন্যাল দেন। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে লালাবাজারে খাজাখালু ও ভালকি গ্রামের বাসিন্দারা দুদিকে উত্তেজিত হয়ে অবস্থান নেন এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়।
তবে খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বিয়ান দুপক্ষকে নিবৃত করেন এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেননি। পরে রাত ১টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লালাবাজারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং দুপক্ষকে সালিশে বসার আহ্বান জানায়।
পরে দুপক্ষই সালিশের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে লালাবাজার ত্যাগ করেন।
Leave a Reply