ডেস্কঃ বিগত ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৫ ঘটিকার সময় সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কাকরদিয়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান খানের বাড়ীতে অতর্কিতভাবে হামলা করে মৌলবাদীরা।
জানা যায় উক্ত সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা মৌলবাদী ও রাজনৈতিক হিংসার কারনে বিভিন্নভাবে প্রান নাশের হুমকি পেয়ে প্রাণে বাঁচার জন্য দেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু দেশ ত্যাগ করেও আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পরও মৌলবাদীরা পিছু ছাড়েনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খানের। বিভিন্ন সুত্রে আরো জানা যায় বর্তমান সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নাসিরউদ্দিন খানের সাথে তাহার রাজনৈতিক পুর্ব বিরোধের কারনে এ ঘটনার যোগসাজশ রয়েছে, কারন দেশে ফিরে এসে আর রাজনীতিতে পুনরায় না আসার জন্য এটি একটি ভয়ভীতি প্রদশর্ন মনে হচ্ছে।
বিশেষ অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, মৃত ফজলুর রহমান খানের পুত্র সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন খান একজন সৎ সাহসী লোক ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষ সকলের শ্রেণির মানুষের দাবী আদায়ে মৌলিক অধিকার নিয়ে কাজ করতেন। তিনি সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে উৎসাহ উদ্দীপনাসহ আর্থিকভাবেও তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করতেন।
এতে করে একটি স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীসহ উগ্র মৌলবাদী চক্র তার উপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। উগ্র এই মৌলবাদী চক্র পরিকল্পিতভাবে তার ব্যবসা-বাণিজ্য এমনকি রাজনৈতিক ক্যারিয়ারসহ সামাজিক কর্মকান্ডে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে নিরূপায় হয়ে ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা প্রাণ রক্ষার্থে দেশ ত্যাগে বাধ্য হন। এতেও ক্ষান্ত হয়নি উগ্রপন্থী এই মৌলবাদী চক্র। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ফরহাদ হোসেন খানের একমাত্র কন্যার জন্মদিন উপলক্ষে তাহার বিয়ানীবাজারস্থ বাড়ীতে কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করিলে মৌলবাদীরা খবর পেয়ে উক্ত অনুষ্ঠানে এসে ফরহাদ হোসেন খানকে খোজাখুজি শুরু করে এবং তারই ধারাবাহিকতায় মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা ফরহাদ হোসেনকে না পেয়ে তার বিয়ানীবাজারস্থ কাকরদিয়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বর্বরোচিত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এ সময় ফরহাদ হোসেন খান-এর বয়োঃবৃদ্ধ মা ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন কে কোনকিছু বুজার আগেই মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক, লোহার রড দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট ও মারাত্মক জখম করে। এ সময় তাদের শোর-চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় এবং শাসিয়ে যায় ফরহাদ হোসেন খানকে পাইলে প্রানে মারবে। এলাকাবাসীরা তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকোল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়েছি, তবে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ আসলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply