1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জালালাবাদ থানা রিকশা ও রিকশাভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালন দক্ষিণ সুরমা রেস্তোরা মালিক সমিতি’র জরুরী সভা অনুষ্ঠিত গরম থেকে বাঁচতে ট্রাফিক পুলিশদের এসি হেলমেট দিলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভায় শ্রমিকদের যথাযথ মুল্যায়নের দাবী দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে জুয়েল আহমদ যারা কথায় কথায় স্যাংশনস দেয় তারা ঘরে ঢুকে মানুষ হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা ব্রিজের কাজ না করেই ১৫ লাখ টাকার বিল উত্তোলন করে নিজাম এন্টারপ্রাইজ চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, বিচার চাওয়ায় পিতার উপর হামলা

সিলেটে বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৪৩ বার পঠিত

ডেস্কঃ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া। ঝড়-বৃষ্টির আভাস মিলতেই সিলেটের অনেক জায়গায় চলে যায় বিদ্যুৎ। এক-দেড় ঘণ্টা পর ঝড়-বৃষ্টি থেমেছে, কিন্তু টানা ১২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ ফেরেনি।

এ অবস্থা শুধু আজই নয়, বেশ কয়েকদিন ধরেই সিলেটে এমন চলছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সিলেটবাসীকে।

সিলেটে গত কয়েকদিন দিন ধরে মাঝে মাঝে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে হচ্ছে বৃষ্টি। চমকায় বিদ্যুৎ। কিন্তু বৃষ্টি শুরুর আগেই শুরু হয় বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় কাটাতে হয়েছে নগরবাসীসহ সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে।

 

গ্রাহকদের অভিযোগ, একটু বাতাস কিংবা বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যায় না। আবার সংযোগ দিলেও কিছুক্ষাণ পরপর ফের বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে- ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে যখন বিদ্যুৎ চমকায়, তখন সঞ্চালন লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আর ঝড়-বৃষ্টিতে লাইনের উপর গাছ-পালাসহ অনেক কিছু পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাই পুনরায় সংযোগ দিতে অনেক সময় দেরি হয়ে যায়।

জানা যায়, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর অধিনস্থ ওসমানীনগর (খাশিখাপন) জোনাল অফিসের আওতাধীন এলাকাগুলোতে সম্প্রতি বিদ্যুতের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। কয়েকদিন আগে ওই অফিসের আওতাধীন দক্ষিণ সুমরার নাজিরবাজার এলাকার মানুষ রাতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। প্রায় ১ ঘণ্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ তুলে নেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। কিন্তু যেদিন সড়ক অবরোধ করা হয় সেদিনই মধ্যরাত থেকে ফের বিদ্যুৎ চলে যায়। আসে পরদিন দুপুরে। এ অবস্থায় ওই এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। শীঘ্রই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিরবিচ্ছিন্ন না করলে তারা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে হুশিয়ারি প্রদান করেছেন।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম মনির সিলেটভিউ-কে বলেন, একটু বৃষ্টি নামার আগে বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। বৃষ্টি শেষ হলেও সংযোগ দেয় না। এভাবেই বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে। সর্বশেষ গতকাল (মঙ্গলবার দিবাগত) রাত ১টার দিকে বিদ্যুৎ যে গেছে, ১২ ঘণ্টার উপর হয়ে গেলো কিন্তু এখনও আসেনি বিদ্যুৎ।

তিনি বলেন, এখন চলছে পবিত্র রমজান মাস। ইফতার ও সেহরির সময়ও বিদ্যুৎ বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। এভাবে চললে আমরা সর্বস্তরের এলাকাবাসী কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।

ওই এলাকার যুবলীগ নেতা হেলাল মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ তো আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিতে এমনটি হয়। তারা শুষ্ক মৌসুমে ঠিকমতো গাছের শাখা-প্রশাখা কর্তন করে না। পুরোনো লাইন, খুঁটি ও ট্রান্সমিটার এসব পরিবর্তন করে না। ফলে হালকা ঝড়-বৃষ্টি হলেই নানা সমস্যা দেখা দেয়। এবার আমরা কঠোর আন্দোলনে নামবো।

এ বিষয়ে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী সিলেটভিউ-কে বলেন, সম্প্রতি একটু বেশি সমস্যা হচ্ছে এটি ঠিক। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি শুরুর পর যখন মূল সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হয় তখন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে একটু সময় লাগে।

তিনি বলেন, কুমারগাঁও স্টেশন থেকে যাওয়া মূল সঞ্চালন লাইনে গতকাল রাতে বড় সমস্যা হয়েছে। সেটি দূর করতে কাজ চলছে।

ওসমানীনগরের খাশিখাপন সাব-স্টেশনের আওতাধীন এলাকাগুলো ঘন ঘন সমস্যা হচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ওই এলাকায় যে সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছিলো সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা হয়েছে। আর গতকাল রাতে হওয়া সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে।

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)-এর বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদের সিলেটভিউ-কে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘটে যাওয়া বিপর্যয়ে আমাদের হাত নেই। যখনই সমস্যা হয় তখনই আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করি। ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে নিরাপত্তার স্বার্থে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বৃষ্টি শেষ হলে ফের সংযোগ চালু কর হয়।

তিনি বলেন, যখনই সংযোগ লাইনে সমস্যা হয় তখনই আমরা কাজে নেমে পড়ি। সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অনেক রাত হলেও আমরা ঘুমাতে যেতে পারি না।

সম্প্রতি সমস্যা বেশি হচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, ইদানিং ঝড়-বৃষ্টিও বেশি হচ্ছে। গতকালের ঝড়ে এক জায়গায় একটি ঘরের অনেকগুলো টিন বিদ্যুৎ লাইনের উপর এসে পড়ে লাইন ছিড়ে গেছে। এমন সব মারাত্মক সমস্যা হওয়ার কারণে অনেক সময় সংযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে দেরি হয়ে যায়।

এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল কাদের বলেন, আমরা শুষ্ক মৌসুমে যতটা পারি সংযোগ লাইনের আশপাশের গাছের শাখা-প্রশাখা কর্তন করি। কিন্তু পুরো গাছ কেটে ফেলার অনুমতি আমাদের নেই।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x