কুমিল্লার মুরাদনগরে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মাহফুজ মিয়াকে (৬১) কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ছেলে। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে সোলেমান মিয়াকে (২৯) গ্রেফতার করেছে বাঙ্গরাবাজার থানা পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাক-দেওড়া গ্রামের মাহফুজ মিয়ার সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে তার ছেলে সোলেমান মিয়ার দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার গভীর রাতে মাহফুজ মিয়া বাড়ির পাশে থাকা বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে ছেলে সোলেমান মিয়া তার বাবা মাহফুজ মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত শেষে লাশ বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশে লুকিয়ে রাখে।

বুধবার সকালে সোলেমান মিয়া তুষ (চাউলের খোসা) বিক্রির জন্য কয়েকটি বস্তায় ভরে অটোরিকশা দিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় কৌশলে তুষের বস্তার সঙ্গে বাবার বস্তাবন্দি লাশটিও অটোরিকশাতে তুলে নেয় সোলেমান। তুষগুলো স্থানীয় একটি বাজারে বিক্রি করে বাবার বস্তাবন্দি লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে ওই অটোরিকশাতে করে বিভিন্ন জায়গায় যায় সোলেমান।

বিষয়টি নিয়ে অটোরিকশা চালকের সন্দেহ হলে এবং অটোরিকশা চালক বস্তা খুলতে চাইলে, নিজ বাবাকে হত্যা করার ঘটনাটি অটোরিকশা চালকের কাছে স্বীকার করে ঘাতক ছেলে সোলেমান মিয়া।

এ সময় অটোরিকশা চালক লাশ ও সোলেমান মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামে ফিরে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসীকে ঘটনাটি জানান। পরে এলাকাবাসী বাঙ্গরা বাজার খানায় খবর দিলে পুলিশ বুধবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘাতক ছেলে সোলেমান মিয়াকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিতাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে নিহতের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ছেলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে অন্য কোনো রহস্য আছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত করছি। গ্রেফতার সোলেমানকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।