1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গরম থেকে বাঁচতে ট্রাফিক পুলিশদের এসি হেলমেট দিলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভায় শ্রমিকদের যথাযথ মুল্যায়নের দাবী দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে জুয়েল আহমদ যারা কথায় কথায় স্যাংশনস দেয় তারা ঘরে ঢুকে মানুষ হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা ব্রিজের কাজ না করেই ১৫ লাখ টাকার বিল উত্তোলন করে নিজাম এন্টারপ্রাইজ চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, বিচার চাওয়ায় পিতার উপর হামলা দক্ষিণ সুরমা হোটেল-রেস্তোরা মালিক সমিতি’র নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন বাউল পাগল হাসান

র্বাচন যদি সঠিকভাবে হয় তবেই অংশ নেব: জিএম কাদের

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৩১ বার পঠিত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গেই আছি। কী হবে, তা এখনো কেউ জানে না। যদি নির্বাচন হয়, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব। যতক্ষণ ঘোষণা না দিয়ে চলে যাব, ততক্ষণ আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে আছি। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচন যদি সঠিকভাবে হয়, তবেই আমরা অংশ নেব। যদি আমরা মনে করি, সঠিকভাবে নির্বাচন হচ্ছে না, তখন আমরা ঘোষণা দিয়েই নির্বাচন বর্জন করব। ঘোষণাটা আমাদের তরফ থেকেই আসতে হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। নির্বাচন নিয়ে কোনো একক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। প্রকাশ্যে ঘোষণা দেওয়া হবে। গণমাধ্যমের সামনে ঘোষণা দিয়ে বলা হবে, এই কারণে আমরা নির্বাচন করছি বা করছি নাশনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে নিজের লেখা ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র সোনার পাথরবাটি’ দ্বিতীয় খণ্ড এবং ‘MISERIES OF MISCONCEIVED DEMOCRACY’ Volume-2 বই দুটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে জিএম কাদের এসব কথা বলেন। জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের এমপি এতে সভাপতিত্ব করেন। জিএম কাদের বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তো আমাদের লোক, আমরাই বানিয়েছি। তারা কোনো ভুল করলে অবশ্যই আমরা বলব। কথা বললেই শাস্তি পেতে হবে? সেজন্য আইন করা হবে? আমি ভুল বলতে পারি, কিন্তু আমার বলার অধিকার তো আছে। আমরা যেন কথা বলতে না পারি, সেজন্য আইন করা হচ্ছে। সরকার হচ্ছে কেয়ারটেকারের মতো, ভুল করলে পরিবর্তন করতে চাইব না? বাংলাদেশের মানুষের এই অধিকার এখন আর নেই। তিনি বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে কোনো প্রকল্প গণমুখী হয় না তার প্রমাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। বিবিসির দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, চার হাজার কোটি টাকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প বছরে আয় করছে একশ কোটি টাকা। ১৫ বছর হচ্ছে এটার লাইফ। এটা কি বাস্তবসম্মত হলো? তাহলে আবার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্পের জন্য চুক্তি কেন? আসলে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নামে দুর্নীতির সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। যেখানে বেশি দুর্নীতি করা যায়, সেই প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন হয়। জিএম কাদের বলেন, আবার রূপপুর আণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়েও কথা আছে। ভারতে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলারে। অথচ একই কোম্পানির ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপনে ইতোমধ্যেই খরচ হয়েছে নাকি ১৬ বিলিয়ন ডলার।জিএম কাদের বলেন, যেসব দেশে একনায়কতন্ত্র থাকে, সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে স্থিতিশীল সরকার থাকলে অনেক উন্নয়ন হয়। এক সরকার বেশি দিন থাকলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা ঢেকে রাখতে পারে না। সরকার বা সরকারপ্রধান পরিবর্তন হলেও সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে যদি অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়, তাকেই স্থিতিশীলতা বলা যায়। স্বৈরশাসনে কখনোই স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়। একটি সরকার বেশি দিন থাকাও অস্বাভাবিক ব্যাপার। একটি সরকার বেশি দিন থাকলে অস্থিতিশীলতার বীজ বড় হতেই থাকে। বইয়ের বিষয় নিয়ে বিষদ আলোচনায় জিএম কাদের বলেন, শাসন পদ্ধতি থেকে মানুষ সুশাসন আশা করে। আইনের শাসন, আইন সবার জন্য সমান হবে। ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজব্যবস্থা। সবাই যেন মনে করে আমরা ন্যায়বিচার পাচ্ছি। কেউ যেন বঞ্চনা বা অত্যাচারের শিকার না হয়। রাজতন্ত্রে সব ক্ষমতা রাজার হাতে কেন্দ্রীভূত থাকে। রাজা ও তার পরিবার থাকে আইনের ঊর্ধ্বে। তাই রাজতন্ত্রে আইনের শাসন থাকে না। তাতে ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজব্যবস্থা তৈরি সম্ভব নয়। ডিক্টেটরদের শাসনে ন্যায়বিচারভিত্তিক শাসন পদ্ধতিতে কিছুটা সুশাসন হতে পারে; কিন্তু আইনের শাসন সম্ভব নয়। একনায়কতন্ত্র স্বৈরতন্ত্রে রূপ নেয়, এই শাসনব্যবস্থা জনগণের জন্য ক্ষতিকর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, জিএম কাদেরের বইয়ের প্রতিটি লেখা দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে। এ ধরনের লেখা কালের সাক্ষী হয়ে বেঁচে থাকে।বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. মোকাম্মেল এইচ ভূইয়া বলেন, জিএম কাদেরের বইগুলো ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবে। পরবর্তী প্রজন্মের শেখার জন্য এ বইগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে। এ সময় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সিনিয়র সাংবাদিক সফিকুল করিম সাবু, শাহজালাল ফিরোজ, বইয়ের প্রকাশক আবুল বাশার। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম আব্দুল মান্নান, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সোলায়মান আলম শেঠ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার এমপি, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল আলম রুবেল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x