1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ব্রিজের কাজ না করেই ১৫ লাখ টাকার বিল উত্তোলন করে নিজাম এন্টারপ্রাইজ চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, বিচার চাওয়ায় পিতার উপর হামলা দক্ষিণ সুরমা হোটেল-রেস্তোরা মালিক সমিতি’র নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন বাউল পাগল হাসান আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম শায়েস্তার প্রার্থিতা বাতিল তামাবিল স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ২ দিন বন্ধ থাকবে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে গুলির পর গলা কেটে হত্যা ১৪৩১ কে স্বাগত জানিয়ে বর্নিল আয়োজনে সিলেটে নববর্ষ উদযাপন পর্তুগালে নানান আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন।

ঘরপোড়া আগুনে জ্বলছে পশ্চিম তীরও

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৩ বার পঠিত

শুধু গাজা নয়, ঘরপোড়া আগুনে জ্বলছে পশ্চিম তীরও। অঞ্চলটির ঘরে ঘরে এখন ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার আতঙ্ক। ফিলিস্তিনিদের বন্দুক ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ি ছাড়তে বলছে তারা। ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে ১৭১ বার। প্রাণহানির ঘটনা ঘটিয়েছে ২৬টি। সম্পত্তির ক্ষতি করেছে এমন ঘটনা ঘটেছে ১১৫টি। বসতি স্থাপনকারীরা প্রাণহানিসহ সম্পত্তিরও ক্ষতি করেছে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে ৩০টি। জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ৭ অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর বসতি স্থাপনকারীদের করা বিভিন্ন আক্রমণ নথিভুক্ত করেছে তারা।গত ২৮ অক্টোবর দক্ষিণ পশ্চিম তীরের খিরবাত জানুতা অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হন প্রায় ২৪টি ফিলিস্তিনি পরিবারের মোট ১৪১ জন বাসিন্দা। যাদের অর্ধেকই শিশু। তাদের প্রায় ৫০টি আবাসিক কাঠামো ও পশু থাকার স্থান ভেঙে ফেলা হয়। নিজেদের ৫ হাজার গবাদি পশু নিয়ে এদিন অঞ্চলটি খালি করেন তাধরা। এই অঞ্চলের আবু খালেদ (৪৩) বলেন, ‘গত ২৬ অক্টোবর আমাদের বাড়িঘর, পানির ট্যাঙ্ক, সোলার প্যানেল ধ্বংস করেছে তারা। আর এ কারণেই আমরা বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম।’ যদিও এমন অভিজ্ঞতা খিরবাত জানুতা অঞ্চলের জন্য নতুন নয়। গত ৭ অক্টোবর থেকে ৯৮টি পরিবারের ৩১৩ শিশুসহ অন্তত ৮২৮ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত করার প্রতি তিনটি ঘটনার মধ্যে একটিরও বেশি ঘটনায় হুমকি দেওয়ার ক্ষেত্রে গুল চালানোসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন বসতি স্থাপনকারীরা। প্রায় অর্ধেক ঘটনায় ইসরাইলি বাহিনী আক্রমণকারীদের সঙ্গে থেকেছে অথবা তাদের সক্রিয় সমর্থন দিয়েছে। অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত সরাসরি বসতি স্থাপনকারীদের হাতে আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।ক্ষতি বা ধ্বংস হয়েছে ২৪টি আবাসিক কাঠামো, ৪০টি কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত কাঠামো, ৬৭টি যানবাহন ও ৪০০টিরও বেশি গাছ ও চারা। পশ্চিম তীরের আরেক অঞ্চল আলগানুব। গত ৯ অক্টোবর এই অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন মোট ৪০ জন বাসিন্দা। নিজেদের ভিটেবাড়ি ছেড়ে যেতে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাদের। বলা হয়েছে, এক ঘণ্টার মধ্যে এই অঞ্চল ছেড়ে চলে না গেলে তাদের হত্যা করা হবে। বাস্তুচ্যুতদের একজন আবু জামাল (৭৫) বলেন, ‘বসতি স্থাপনকারীরা আমাদের তাঁবুতে আগুন দিয়েছে, আমার ছাগল চুরি করেছে। আমাদের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে।’গত ১২ অক্টোবর পশ্চিম তীরের নাবলুস অঞ্চল থেকে আট পরিবারের মোট ৫১ জনকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। তাদেরও বন্দুক ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি আর রাতে তাঁবুতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।এর আগে সেপ্টেম্বরে ওসিএইচএ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের ২৮টি সম্প্রদায়ের ১ হাজার ১০৫ জন মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বাস্তুচ্যুত হয়েছে চারটি সম্প্রদায়। অন্য ছয়টি সম্প্রদায়ের ৫০ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে সাতটি সম্প্রদায়ের।২০২২ সাল থেকে বসতি স্থাপনকারীদের হামলার শিকার হয়ে মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৯৩৩তে পৌঁছেছে। এছাড়া ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের বাড়িঘর ধ্বংসের শিকার হয়ে ২০২২ সালে আরও ১ হাজার ৩২ জন ফিলিস্তিনি ও ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫২ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।বাস্তুচ্যুত করা ছাড়াও ফিলিস্তিনের চলাফেরায় অবরোধসহ বিভিন্ন মানবিক পরিষেবা থেকে তাদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন চলছে গ্রেফতার অভিযান। শুক্রবারও অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে অন্তত ৪১ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। অভিযান চালানো হয়েছে পশ্চিম তীরের নাবলুস, তুলকারম ও রামাল্লায়। তবে বেশিরভাগই গ্রেফতার হয়েছেন হেব্রন থেকে। শহরটির দক্ষিণে আল-ফাওয়ার শরণার্থী শিবির থেকে কমপক্ষে ২৫ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x