ডেস্কঃ বিদেশ পাঠানোর নামে এক আদম বেপারীর বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তার নাম হরিপদ দাস। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার চরনাচর গ্রামের মৃত অনাথ দাসের ছেলে।
বর্তমানে তিনি সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ডলিয়া এলাকায় বসোবাস করছেন।
বুধবার ( ৬ এপ্রিল ) তার বিরুদ্ধে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ( উত্তর ) আজবাহার আলী শেখ বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী তাজুল ইসলাম, সোনা মিয়া, নূরে আলম, হরিভক্ত দাস ও রাজিব রায়। তাদের সবার বাড়ি দিরাই থানার চরনাচর কামালপুর ও নোয়াগাঁও গ্রামে।
অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, হরিপদ দাস ২০১২ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই পাঠানোর কথা বলে এলাকার ১৮ জন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৫৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অর্থনৈতিক স্বাবলম্বি হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দুবাই যাওয়ার লোভে অনেকেই জমি-জমা, স্বর্ণালংকার, গরু-বাছুর বিক্রি করে হরিপদের হাতে টাকা তুলে দেন।
কিন্তু তাদের কাজ না হওয়ায় একসময় তারা বুঝতে পারেন যে, তারা ভুল মানুষকে টাকা প্রদান করেছেন। হরিপদ একজন প্রতারক এবং মিথ্যাবাদী লোক। নানা টালবাহানায় কালক্ষেপন করতে থাকেন তিনি।
তারা বিরক্ত হয়ে হরিপদের কাছে দেয়া টাকা ফেরত চাইলে তিনি তারিখের পর তারিখ দিয়ে তাদের হয়রানি করেন। এক পর্যায়ে নোয়াগাঁওয়ের তার বসতবাড়ী গোপনে বিক্রি করে তিনি পরিবার নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। পরে অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগে তারা জানতে পারেন, হরিপদ দাস সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার ডলিয়া এলাকায় বাস করছেন। তারা আরও জানতে পারেন হরিপদ তার বাসায় মাদকের ব্যবসা করেন। তার সহযোগী লিটন দাস চরনাচরে সিগারেটের নামে মাদক ব্যবসা করছে।
এ ব্যাপারে হরিপদ দাসের নম্বরে কল দিলে তিনি সব অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন।
তিনি বলেন, চরনাচর গ্রামে আমরা একটা নতুন বাড়ি করেছি। এই বাড়ির জমিজমা নিয়ে গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহলের সাথে বিরোধ রয়েছে। ঐ মহলটি এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। আপনারা সরজমিনে এলাকায় গেলে প্রকৃত সত্য জানতে পারবেন।
তার সহযোগী লিটনও মাদক ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Leave a Reply