1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন

প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট প্রেমিকা

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : রবিবার, ৮ মে, ২০২২
  • ১৭৬ বার পঠিত

ডেস্কঃ প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রেমিকা। মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমিকের পাঠানো সিএনজি অটোরিকশা দেখা করতে আসেন প্রেমিকা। সঙ্গে ছিলেন আপন ছোটবোনও। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘুরাঘুরির একপর্যায়ে প্রেমিকা দুর্ঘটনায় কবলিত হন। বৈদ্যুতিক তারে পড়ে আগুনে ঝলসে যাওয়া প্রেমিকা সিপা বেগম (১৫) মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে সাথে থাকা ছোটবোন ও দুই ছেলে (কথিত প্রেমিক) সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে সটকে পড়েন। 

দুর্ঘটনাটি ঘটে ০৭ মে শনিবার কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের ভূমি অফিসের পেছনের একটি টিলা এলাকায়।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা জামাল মিয়ার মেয়ে সিপা বেগম (১৫)-এর সাথে মোবাইল ফোনে প্রেম হয় কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা জীবন (কথিত প্রেমিক) নামক ছেলের সাথে। সেই সুবাদে প্রেমিকের পাঠানো সিএনজি অটোরিকশা জয়চন্ডী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে আসেন সিপা বেগম। দুর্ঘটনার পর সন্ধ্যায় কুলাউড়া থানাপুলিশের কাছে সিপার বাবা-মা জানান বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সাথে তার ছোটবোনসহ দুইজন ছেলে ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভূমি অফিসের পেছনে উচু টিলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত পল্লিবিদ্যুতের ১১ কেভি লাইনে বিকট শব্দ শুনেন স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। লাইনের নিচে এক মেয়ের গায়ে আগুন জ্বলছে দেখে স্থানীয় শিশুরা চিৎকার করলে আশপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। তাৎক্ষণিক সিপা বেগমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সিপা বেগমের গলা থেকে কোমর পর্যন্ত বিদ্যুতের আগুনে ঝলসে গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আহত সিপা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রেফার্ড করলে বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে সিপা বেগম।

তবে সিপা বেগমকে আনতে যাওয়া সিএনজি অটোরিকশা ও তার বোন তানজিনাসহ প্রেমিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ফলে ঘটনার মূলরহস্য জানা সম্ভব হয়নি।

এদিকে খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার এসআই মহসিন ঘটনাস্থলে যান। পরবর্তীতে তিনি কুলাউড়া হাসপাতালে গিয়ে সিপার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

সিপার দেয়া মোবাইল নাম্বার অনুসারে তার মা ও বাবাকে জানালে সন্ধ্যায় তারা কুলাউড়া থানায় এসে জানান, সহপাঠীদের নিয়ে ঈদে ঘুরতে বাড়ি থেকে সিপা ও তার ছোটবোন (তানজিনা) সহ চারজন সিএনজি অটোরিক্সাযোগে বের হন।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x