ডেস্কঃ মুসলমানদের ধর্মীয় মহা গ্রন্থ পবিত্র আল কোরআনের ১৫টি কপি পুড়ানোর অভিযোগে স্কুলের এক শিক্ষক ও চেয়ারম্যানকে গণধোলাই দিয়েছে জনসাধারণ। আল কোরআনে অগ্নিসংযোগকারীদের ফাঁসির দাবি জানানো বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ।

রোববার (০৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট মহানগরীর আখালিয়ায় সিলেট আইডিয়াল স্কুলে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার অভিযোগ ওঠে।

অভিযুক্তরা হলেন- সিলেট আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। অপরজন ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা। তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট আইডিয়াল স্কুলে প্রায় ১৫টি পবিত্র কোরআন শরীফে আগুন ধরিয়ে দেন দুই ব্যক্তি। আগুন দেয়ার ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে জনসাধারণ উত্তেজিত হয়ে তাদের আটক করে। এক পর্যায় উৎসুক জনতা দুজনকে  ধণধোলাই দেন।

খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদেরকে উদ্ধার করেন। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আখালিয়া এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। স্থানীয় কাউন্সিলর সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এবং তাদের উদ্দ্যেশে তারা ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

তাদের কথা না শুনে উৎসুক বিপুল সংখ্যক জনতা আল কোরআনে অগ্নিসংযোগকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সময়ে সময়ে উত্তেজিত জনতার ঢল নামলে পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে বলে স্থানীয়রা জানান। একটি স্কুলে কি কারণে পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়ানোর ঘটনা ঘটেছে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেন নি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণের ডিসি আজবাহার আলী শেখ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দুজনকে আটকের কথা জানান। পরে তিনি বিস্তারিত জানাবেন বলে সংযোগ কেটে দেন।