1. admin@sylheterkujkhobor.com : admin :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

সিলেটে কোরআন পুড়ানোর বিষয়টি গুজব, গুজবকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ

সিলেটের খোঁজখবর
  • আপডেট সময় : সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ৯৭ বার পঠিত

ডেস্কঃ সিলেটে পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়ানোর বিষয়টি গুজব। আর এই গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ বিপিএম-(বার), পিপিএম।

 

সোমবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে তিনি নগরীর আখালিয়া এলাকার ধানুহাটারপাড়াস্থ সিলেট আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শন করেছেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করা হয়। লাইভে অনেকেই বিভিন্নভাবে এই বিষয়টি ছড়িয়ে দিয়েছেন। উস্কানীমূলক কথাবার্তা বলে মানুষকে জড়ো করেছেন। তদন্ত করে যাদের গুজব ও উস্কানীমূলক বক্তব্য পাবো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাদেরকে আটক করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তারা ছাত্র জীবনে শিবিরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়ের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদসহ উধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ।

উল্লেখ্য-এ ঘটনায় আটকৃত দুজন হলেন সিলেট আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান নুরুর রহমান(৫০)। তিনি গোলাপগঞ্জের বসন্তপুর গ্রামের মৃত ফজুর রহমানের ছেলে, বর্তমানে তিনি কোতোয়ালি থানাধীন তপুবন এলাকার সরু মিয়ার বাসায় বসবাস করে আসছেন। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানাধীন বাউলাপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে মাহবুব আলমকে (৪৫)।

রোববার (৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আখালিয়ার ধানুপাড়াস্থ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের  চেয়ারম্যান ও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআন শরিফ পুড়ানোর অভিযোগ উঠে। এসময় খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতা তাদের আটক করে গণধোলাই দেন। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর ও থানা পুলিশ তাদের এক রুমে নিয়ে হেফাজতে রাখেন।

রাত ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিশেষ টিম সিআরটি এবং জালালাবাদ ও  কোতোয়ালি থানার অতিরিক্ত পুলিশ এবং র‍্যাব-৯ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

এসময় উত্তেজিনত জনতার একাংশ সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

রাত সাড়ে ১২টার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাধ্য হয়ে ফাঁকা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে ধীরে ধীরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন উত্তেজিত স্থানীয় জনতা। রাত ২টার দিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে পুলিশ। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর










x